নিষেধাজ্ঞার কারণে সংস্কার বাধাগ্রস্ত হলে মিয়ানমার চীনমুখি হয়ে পড়বে
আনন্দ মোস্তফা: যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলে, মিয়ানমারের অর্থনৈতিক সংস্কার বাধাগ্রস্ত হবে। এর ফলে মিয়ানমার আরো বেশি চীনের মুখাপেক্ষী হয়ে যাবে বলে মনে করেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিশপ প্যেইনো চো।
চো মনে করেন নতুন কোন নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমস্যার সৃষ্টি করবে না। প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে চলা সামরিক শাসনের পর দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুচি যে সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এর ফলে মিয়নামারের আরও বেশি করে প্রতিবেশী চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। উল্লেখ্য গত ২৫ আগস্টের তারিখে কিছু রোহিঙ্গ্যা বিদ্রোহী মিয়ানমার বর্ডার গার্ড ও পুলিশ চেক পোস্টে হামলা চালালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমনের নামে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নৃশংস হামলা চালায় যা জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধন’ বলে অবহিত করেছে। এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। চীন মিয়ানমারের এই নিধনযজ্ঞ প্রথম থেকেই সমর্থন করে আসছে এবং বিষয়টিকে মিয়নামারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার হওয়ায় সমালোচনা করেছে।
মিয়ানমার বিশপ কনফারেন্সের সামাজিক যোগাযোগ পরিচালক, ফাদার মারিয়ানো সেও নাইং-ও মনে করেন নতুন করে নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে যা মিয়ানমারকে চীনের মুখাপেক্ষী করে তুলবে। ইতিপূর্বে ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যা ২০১৬ সালে তুলে নেয়া হয়। সূত্র : ভ্যাটিকান রেডিও