মালয়েশিয়ায় সংগঠন বাড়াচ্ছেন জাকির নায়েক
আজকাল : গত মাসে কুয়ালালামপুরের পুত্রা মসজিদে বিপুল জনতার সমক্ষে দেখা গিয়েছিল ভারতের বিতর্কিত কট্টরপন্থী মুসলিম নেতা জাকির নায়েককে। সেখানে তার সঙ্গে পরপর সেলফি তুলতে দেখা যায় উৎসাহী অনুরাগীদের। তখনই প্রমাদ গুণেছিল ভারত। তারপর গত সপ্তাহেই নায়েকের বিরুদ্ধে জনসভায় বিদ্বেষমূলক ধর্মীয় ভাষণে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ। ৫ বছর আগে নায়েককে স্থায়ী নাগরিকত্ব দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। প্রধানমন্ত্রী নাজিব রজাকের নেতৃত্বে এখন মালয়েশিয়ায় ইসলামিক রাজনীতির বাড়বাড়ন্ত। ২০১৩ সালে সাধারণ নির্বাচনে জনসমর্থন হারার পরই কট্টরপন্থী ইসলামিক রাজনীতিতে আরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী রজাক। সেখানে জাকির নায়েকের উপস্থিতি মালয়েশিয়ায় কট্টরপন্থী ইসলামের প্রতি সমর্থন আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এককালে শান্তিপূর্ণ মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত মায়ানমারে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ এবং ক্রিশ্চানদের অবস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন অন্য রাষ্ট্রগুলি। ইউটিউবে একটি বার্তায় নায়েক বলেছিলেন, ওসামা বিন লাদেন যদি সন্ত্রাসবাদী হয়, তাহলে আমেরিকা আরও বড় সন্ত্রাসবাদী। তিনি সমসময়ই লাদেনকেই সমর্থন করবেন। মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, নায়েক অত্যন্ত জনপ্রিয় দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে। তিনি গত ৫ বছরে এমন কোনও কাজ করেননি বা দেশের আইন নিজের হাতে নেননি যাতে তাঁকে গৃহবন্দী বা গ্রেপ্তার করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, পুত্রার যে মসজিদে ৫২ বছরেরর এই চিকিৎসককে গত মাসে দেখা যায় জনসভায়, সেখানে নিয়মিত যান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং উপ প্রধানমন্ত্রী। মালয়েশিয়ায় নায়েকের এই প্রভাবে আতঙ্কিত সমাজকর্মীরা আদালতে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের মামলা দায়ের করেছেন। তাদের আবেদন, মালয়েশিয়ার ৪০ শতাংশ অন্য সম্প্রদায়ের। সেখানে নায়েকের এই জাতিবিদ্বেষমূলক কথাবার্তা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘিœত করতে পারে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ