কার্তিক পূর্ণিমার পরিনির্বাপিত হন অগ্রশ্রাবক সারিপুত্র
ইলা মুৎসুদ্দী : ত্রিপিটক শাস্ত্রে অসাধারণ জ্ঞানী অগ্রশাবক সারিপুত্র স্থবির ছিলেন পন্ডিত, ধীমান, যশস্বী, মহাপ্রাজ্ঞ, ক্ষিপ্র প্রত্যুৎপন্ন, তীক্ষ্ম প্রাজ্ঞ ও বিরাগ প্রাজ্ঞ । একদিন সারিপুত্র মহাস্থবির ফল সমাপত্তি ধ্যান হতে উঠে চিন্তা করছিলেন যে বুদ্ধ আগে পরিনির্বাপিত হবেন না অগ্রশ্রাবক আগে পরিনির্বাপিত হবেন? তিনি নিজের আয়ু সংষ্কার অবলোকন করে দেখলেন যে, সপ্তাহ মাত্র আয়ু অবশিষ্ট আছে। এসময় তিনি কোথায় পরিনির্বাণ যাবেন চিন্তা করতে করতে নিজ মাতার কথা মনে পড়ল।
যিনি এখন ও মিথ্যাদৃষ্টি সম্পন্ন।
সারিপুত্রের তিন বোন চালা, উপচালা ও শিশুচালা। তিন ভাই ছন্দ, উপসেন ও রেবত এই সাতজন অরহতের গর্ভধারিণী হয়ে যদি কোনো মার্গফল প্রাপ্ত ছাড়া মৃত্যুবরণ করে তাহলে লোকেরা বলবে সারিপুত্র বহু লোকের মুক্তিদাতা বটে, কিন্তু স্বীয় জননীর মিথ্যাদৃষ্টি দূর করতে সমর্থ নহেন।
অত:পর তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে চিন্তা করে দেখলেন যে, আমার উপদেশেই আমার মা ধর্মচক্ষু লাভ করবেন। তিনি তথাগত সম্যক বুদ্ধের চরণতলে বন্দনা করে বললেন, ভগবান মাতৃদর্শন এবং কার্তিকী পূর্ণিমা তিথিতে পরিনির্বাণ লাভের অনুমতি প্রদান করুন।ভগবান বুদ্ধ স্বীয় প্রধান শিষ্যের মস্তকে দক্ষিণ হস্ত প্রসারিত করে নীরবে সম্মতি দান করে জিজ্ঞেস করলেন, সারিপুত্র কোথায় পরিনির্বাপিত হবে? সারিপুত্র বললেন, ভগবান মগধরাজ্যের নালক গ্রামে জাত প্রকোষ্টে। অতপর সারিপুত্র স্থবির তথাগতের পদ বন্দনা করে উর্ধ্বাকাশে উর্ধ্বগমন করলেন এবং পরিনির্বাণ লাভ করলেন।