দেশনেত্রীর জনমত গঠনে সফর অত্যন্ত সময়োপযোগি
মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ
ইবরাহীম বীর প্রতীক
কঠোর কর্মসূচী দিয়ে নয়, জনমত গঠন করে সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে যেতে চায় বিএনপি। বিশ দলীয় জোটের শরীকদেরকে আমন্ত্রণ জানালে আমরাও ওনার সঙ্গে যাবো। যেমন অতীতে গিয়েছি। যেখানেই মাননীয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাবেন, বিশ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ বিএনপির সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে একত্রিতভাবে সকল কর্মসূচীতে অংশ নেবেন, যেন তার জন সমাবেশ অবশ্যই সফল হয়। যদি আমরা দেশ নেত্রীর সঙ্গে যাই তাহলে তো যাবো, না গেলে আমাদেরও জনসংযোগ কর্মসূচী রয়েছে। কারণ, নির্বাচন আর বারো মাসের কম বাকি আছে। যদিও নির্বাচন একান্তই আমাদের বিশ দলীয় জোটকে জোরদার করে নিজেদের রাস্তায় শুরু করেছি।
আমি মনে করি, জনমত তৈরি করাটা অত্যন্ত সুকৌশলগত একটি পদক্ষেপ। স্বচ্ছ পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনমতের চাপে পৃথিবীর বহু সরকার বহু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। অহিংস পন্থায় জনমতই পারে সরকারকে বাধ্য করতে। আমরা সরকারের নিকটে দুই তিনটি বিষয় চাইব। সরকারকে এই সিদ্ধান্তে বাধ্য করতে পারবে বাংলাদেশের মানুষ। এক. নির্বাচন কালীন নিরপেক্ষ সরকার, সহায়ক সরকার, ক্ষমতাসীন রাজনীতির প্রভাব মুক্ত সরকার। দুই. মানুষের মনে যেন আস্থা থাকে, স্বস্তি থাকে, মানুষ যেন ঘর বাড়িতে থেকে নির্বাচন প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতে পারে। শান্তিতে ভোট দিতে পারে। তার জন্য নির্বাচনের পনেরো দিন আগে বা এক সপ্তাহ আগে মাঠে ময়দানে ব্যাপকভাবে সামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। এই দুটি বিষয়ে মানুষের মনে অলরেডি একটি ধারণা আছে। এটাকে সংগঠিত করে বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে। এজন্য দেশনেত্রীর পদক্ষেপকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এটাকে অত্যন্ত সময়োপযোগি পদক্ষেপ বলে মনে করছে।
পরিচিতি : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ