দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উপর বার বার হামলা অপ্রত্যাশিত
খালেদা জিয়া দেশব্যাপী সফরে যাবেন। এতে যদি তিনি বাধাপ্রাপ্ত হন এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা। যেমন সব কর্মসূচীতে বাধাপ্রাপ্ত হন সব সময়। প্রতি বৃহস্পতিবারে আদালতে তারিখ দেয়া হচ্ছে। এসব করে তো কোনো লাভ নেই। কারণ, বেগম খালেদা জিয়া যদি অন্তত পক্ষে এই আটটি বিভাগীয় শহরেও যেতে পারেন, সেটার ঢেউ গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত গিয়ে লাগবে, অতীতে আমরা দেখেছি। গণতন্ত্র বলে বেশি চিৎকার করে আওয়ামী লীগ। তাদের উচিত গণতন্ত্রের বাতাস ঢোকা এবং বের হওয়ার জন্য দুটো জানালাই খোলা রাখা। শুধু তাদের জানালাটা যদি খোলা রাখে আর বাকিটা বন্ধ রাখে, তাহলে এক সময় বেশি বাতাস এসে কিন্তু ঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে। এটা মনে রাখলে ভালো হয়। বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দলকে যেভাবে পদে পদে বাধা দেয়া হচ্ছে, যে কোনো কর্মসূচীতে সে বাধাগুলো অপসারিত করে তাদেরকেও অবাধ এবং মুক্ত গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী করতে দেয়া হোক। খালেদা জিয়া যেখানেই যেতে চান, তার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়া আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছিলেন। যিনি আওয়ামী লীগের প্রধান, তার পিতাও আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতারা তো প্রায়ই বলে শেখ হাসিনাকে এতবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা যদি পরিসংখ্যান করি তো দেখবো, খালেদা জিয়াকে উনিশ বার না আরো বেশি বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জনগনের জন্য যেহেতু তিনি রাজনীতি করেন, সাধারন মানুষের সাথে তো তাকে থাকতে হবে। যদি এ ধরনের কর্মকান্ড হয় ১৯৮১ ৩০ মের পরে, বাংলাদেশের সাংবাদিক, সুশীল সমাজের লোকেরা বলেছিলেন যে, বিএনপি উইল গেট বিগ জিরো মাইনাস জিয়াউর রহমান।
সেটা কিন্তু হয় নি। বেগম খালেদা জিয়া সফলতার সাথে করে দেখিয়েছেন যে, মানুষের ভালোবাসা যদি থাকে পুঁজি হিসেবে, তাহলে পেছনে যায় না, সামনের দিকেই যায় সে দল। এখন যদি তার ভাগ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ রকম কিছুই লিখে রাখেন, তাতে দেশের ক্ষতি হতে পারে । দেশে অস্থিরতা আসতে পারে, যা অপ্রত্যাশিত। সরকারেরই যতœশীল হওয়া উচিত বেশি করে, যাতে ওনার ওপর এরকম বার বার হামলা না হয়।
পরিচিতি : যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ