২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ডিজিএফআই এনএসআই সিআইডি ও পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে
মামুন আহম্মেদ খান : ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআই, সিআইডি ও পুলিশকেও ব্যবহার করেছিল। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জঙ্গি সংগঠন ছাড়াও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-ও সম্পৃক্ত ছিল। ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে গতকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার হত্যা ও বিস্ফোরক দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটির প্রধান কৌঁসুলী সৈয়দ রেজাউর রহমান অষ্টম দিনের যুক্তিতর্কে এ দাবি করেন।
সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, এই অপরাধ সংগঠনের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ৫টি জঙ্গি সংগঠন জড়িত ছিলÑ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ, কাশমির ভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীন, তেহেরিক ই জিহাদী আল ইসলাম, পাকিস্থান ভিত্তিক সংগঠন লস্কর ই তৈয়বা ও আরাকানের রোহিঙ্গা ভিত্তিক সংগঠন আরএসও।
সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, এই দুই মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। যার মধ্যে দ-বিধি আইনের মামলায় ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৫২ জন আসামি থাকলেও ১১ জন আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। তিনি বলেন, মামলা দুটিতে প্রথম ও সম্পূরক চার্জশিট মিলে ৫১১ জনকে সাক্ষী ছিল। এর মধ্যে ২০৭ জনকে আমরা আদালতে উপস্থাপন করি। এছাড়া চার্জশিটের বাইরে থেকে আমরা ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করলে আদালত সেখান থেকে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে আমরা ২২৫ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করার পর আসামিপক্ষ সাক্ষীদের জেরা করেন। চলতি বছর ৩০ মে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এরপর চলতি বছর ১২ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত আসামীদের আত্মপক্ষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ১২ জুলাই থেকে আসামি পক্ষে ২০ জন সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জেরা করি। যা গত ১১ অক্টোবর সম্পন্ন হয়। কোনো কোনো আসামির সাফাই সাক্ষ্য তাদেরই বিরুদ্ধে গেছে। তিনি আরও বলেন, মামলা দুটির সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে ৪ জন আসামি ৪ বার উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৯৪ কার্যদিবস সময় ব্যয় হয়েছে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী