সিন্ডিকেট একটি লুন্ঠণ
তোফাজ্জল হোসেন : পণ্য দ্রব্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। এতে সিন্ডিকেট নামের অধরা একটি জিনিস কাজ করে। মূলেত এর পেছনে রয়েছে পুঁজিবাদ। বড় ধরণের মুনাফা ভোগের প্রবণতা থেকে এমনটা হচ্ছে। এটা সর্বোচ্ছ শোষণ, লুন্ঠণ। মানুষ এটার বিকল্প খুঁজছে। এর থেকে মুক্তির জন্য অনেকে ধর্মের আশ্রয় নিচ্ছেন। আবার পুঁজিবাদিরাও ধর্ম ব্যবহার করেন। মঙ্গলবার রাতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের টকশো আজকের বাংলাদেশের পর্ব ‘রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ’ অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন। জাহিদ হাসানের উপস্থাপনায় আলোচনায় অংশনেন লেখক ও সমাজতাত্ত্বিক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ মার্কবাদী নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।
শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, সমাজ যখন শ্রেণি বিভক্ত হয়ে গেল তখনই বৈশম্য হয়। সুখ এবং দু:খ নিয়ে সমাজে বিরোধ থাকল। এটি নিষ্পত্বি করতে করতেই সমাজ এগুচ্ছে। দাস-মালিক, রাজা-প্রজা সমাজের পর আমরা এখন মালিক-মজুরের সমাজে আছি। এই সমাজ নিজেই সঙ্কটের জন্ম দিচ্ছে। এখানে সবাই (শ্রমিক) মিলে সবার জন্য দলবদ্ধ ভাবে উৎপাদন করে। সে যে যন্ত্র ব্যবহার করে উপৎপাদন কাজে, সেটিও আরেকটি দল তৈরি করে। তাই উৎপাদন ব্যবস্থাটা সামাজিক। কিন্তু মালিকানা হয়ে যাচ্ছে ব্যাক্তিগত। এতেই শ্রেণি শোষণ তৈরি হচ্ছে। আর তখনই মুক্তির আকাঙ্খা বাড়ছে।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাদকে বিদায় করতে না পারলে সভ্যতা বিপন্ন হবে। একসময় দাস,শামন্ত ব্যবস্থা ছিল। এখন চলছে পুঁজিবাদি ব্যবস্থা, এই তিনটিতেই রয়েছে ব্যাক্তি মালিকানা। সমাজ তন্ত্রের সাথে ব্যাক্তি মালিকানা আর সামাজিক মালিকানার মধ্যে বিরোধ। ব্যাক্তিমালিকানা মানে হচ্ছে শতকরা পাঁচজন মালিক হবে। পঁচানব্বই জন বঞ্চিত হবেন। কিন্তু উৎপাদন করছেন বেশি সংখ্যার মানুষরাই। তখন তৈরি হচ্ছে বিক্ষোভের। আবার পুঁজিবাদিরাও সংঘর্ষেও জন্ম দিচ্ছে।