সাক্ষাৎকারে ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ যে কারণে আধ্যাত্মিক চর্চা প্রয়োজন
বাংলাদেশে ইসলামের সূচনা হয়েছে পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে। তাই এ দেশ পীর-আউলিয়ার দেশ হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। অনেকে বলে ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে বিকাশিত হয়েছে। এ কথাটা একেবারেই ঠিক নয়। কেননা বাংলাদেশের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বাংলাদেশে ইসলামের সূচনা, লালন ও বিকাশ সবই হয়েছে পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে। আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাতকারে এমন কথা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপ-পরিচালক এবং তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদে খতীব ও জামিয়ার শায়খুল হাদীস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
আমাদের অর্থনীতি : একজন পীরকে দেখে আমরা কিভাবে বুঝবো যে তিনি প্রকৃত পীর?
ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ : এই বিষয়ে কথা বলতে হলে দীর্ঘ কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রে আসলে সংক্ষেপে কিছু বলা কঠিন। তবে আমি এতোটুক বলবো যে, একজন প্রকৃত পীর তিনিই যার কাছে গেলে মউত, কবর এবং হাশর-মিজানের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। যার কাছে গেলে যত বেশি বৃদ্ধি পাবে সেই তত বড় পীর। এটা হচ্ছে প্রথম আলামত। দ্বিতীয় হলো, তার কথা কুরআন-সুন্নাহের পরিপন্থী হবে না। তৃতীয়, প্রকৃত পীরের কাছে সমকালীন হক্কানী আলেমদের যাতায়াত বেশি হবে। চতুর্থ, তার সাথে যারা জড়িত তাদের তিনজনের মধ্যে দুইজনই আল্লাহর পথে থাকবে। এই রকম আরও বেশ কিছু গুণাগুণ আছে।
আমাদের অর্থনীতি: বাংলাদেশ পীর-আউলিয়ার দেশ হিসেবে পরিচয় পাওয়ার কারণ কি?
ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ : বাংলাদেশে ইসলামের সূচনা হয়েছে পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে তাই এদেশ পীর-আউলিয়ার দেশ হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। আরো একটি কথা হচ্ছে, অনেকে বলে ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে বিকাশিত হয়েছে। এ কথাটা একেবারেই ঠিক নয়। কেননা বাংলাদেশের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বাংলাদেশে ইসলামের সূচনা, লালন ও বিকাশ সবই হয়েছে পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে।
আমাদের অর্থনীতি : আধ্যাত্মিক চর্চার নামে সারা বাংলাদেশে এমন অনেক মাজারে অনৈতিক, অশ্লীল ও অসামাজিক কর্মকা- সংঘটিত হয়। এ বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ : মাজার বরকতের স্থান বাণিজ্যকেন্দ্র নয় এবং এই স্থানকে কোনো বিনোদনস্থল বানানো ঠিক না। কিন্তু এ বরকত আহরণ করতে হবে শরীয়তের নিয়ম অনুসারে। এটা খুব স্পর্শকাতর অংশ। দুর্ঘটনা হলে ঈমান-আমল সব বরবাদ হয়ে যায়।