বিশেষ সাক্ষাৎকারে আহমদ আযম খান আইন করে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা চলছে
খন্দকার আলমগীর হোসাইন : বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার সরকারি ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র আজকের নয়, দীর্ঘদিনের। যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো এত সচল। প্রয়োজনে আইন করে হলেও বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা চলছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রতি সপ্তাহে তারিখ দেওয়া হচ্ছে। একদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য তড়িঘড়ি করে সাজা দেওয়ার একটা পাঁয়তারা একেবারেই দৃশ্যমান। বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে অসম্মান এবং তার পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করা যায়Ñ এ চেষ্টা যেন সার্বক্ষণিক চলছে। সেটা কোর্টের ভেতরে, কি কোর্টের বাইরে। সরকার চাইছে যেকোনোভাবে জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রতিশোধের রাজনীতি করেন না। অথচ তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেনÑ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুল রেজাক খান এ পাঁচজন সিনিয়র অত্যন্ত বিনয়ের সাথে প্রস্তাবনা রেখেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার জামিনটা যেন স্থায়ী করা হয়। তিনি তো পালানোর মতো মানুষ নন। তিনি তো কখনো জামিনের অপব্যবহার করেননি। অথচ তার জামিন স্থায়ী করা হচ্ছে না। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্যই নয়, পৃথিবীর কোথাও এমন দৃষ্টান্ত নেই।
আহমদ আজম খান বলেন, তড়িঘড়ি করে বেগম জিয়াকে কতটা দ্রুত সাজা দেওয়া যায়, এরকম একটা পাঁয়তারা লক্ষ্য করছি। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে হলেও বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সে চেষ্টা সরকার আপ্রাণ চালিয়ে যাচ্ছে। সে ধরনের আকার-ইঙ্গিত তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণে দেখতে পাচ্ছি। এ ধরনের অপচেষ্টা নিন্দনীয় এবং গণতন্ত্রের পথকে আরও কণ্টকাকীর্ণ করবে। জটিল করবে আগামী দিনের রাজনীতি ও ইতিহাসকে।
সম্পাদনা : আশিক রহমান