বান্দরবান জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে : জনসংহতি সমিতি
রফিক আহমেদ : জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি উছোমং মারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, ধর-পাকড় ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বান্দরবান জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় বান্দরবান জেলা কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের তথ্যপ্রচার সম্পাদক নিত্যলাল চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
উছোমং মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি একটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেই জনসংহতি সমিতি আজ অবধি গণতান্ত্রিক পন্থায় তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে।
তিনি বলেন, গত ১৩ জুন ২০১৬ সালে বান্দরবান সদর উপজেলা জামছড়ি এলাকা হতে কে বা কারা, কোন সন্ত্রাসী নাকি ডাকাত দল মংপু মারমা নামক ব্যক্তিকে অপহরণের পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নেতৃস্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তল্লাশি, ধরপাকড় ও হয়রানি চালানো হচ্ছে। রাজবিলা এলাকায় সংঘটিত একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় জনসংহতি সমিতি ও অঙ্গসংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। যেখানে সামান্য ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিকারী ব্যক্তি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান, মৌজা হেডম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জড়ানো হয়েছে। যা ষড়যন্ত্রমূলক, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি অবিলম্বে এ মামলা হতে জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ