সিলেটের বিরুদ্ধে বড় জয় পেলো রাজশাহী
এল আর বাদল : ব্যাটে বলে খুব একটা দুর্বল নয় সিলেট সিক্সার্স। নিজ জেলার মাটিতে টানা ৩ ম্যাচ জিতে শক্তির জানান দিয়েছিলো তারা। কিন্তু ঢাকায় এসে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারছে না, প্রমাণ দিতে পারছে না নিজেদের শক্তিমত্তার। সিলেটে টানা ৩ জয়ের পর ঢাকায় এসে টানা দুই ম্যাচ হারল সিলেট। গতকাল তো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। প্রতিপক্ষ রাজশাহী যেভাবে সিলেটের টুটি চেপে ধরলো, তাতে যেনো দম যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো সিলেটের। ছক্কা, চারের খেলায় মেতে আড়াই ওভার (১৫ বল) আগেই জয়ের ঠিকানায় পৌঁছায় রাজশাহী কিংস।
এদিকে মিরপুর স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স। জবাবে ৭ উইকেট এবং ১৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্যামি-মুশফিকরা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠল রাজশাহী।
রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন জাকির হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া রনি তালুকদার ২৪, মুশফিকুর রহিম দলকে উপহার দেন ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। রাজশাহীর পতন হওয়া ৩ উইকেটের ১টি করে শিকার করেছেন নাসির হোসেন, নাবিল সামাদ এবং আবুল হাসান।
এর আগে সিলেটের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে বড় অবদান রাখেন সাব্বির-ব্রেসনান। ৪টা ছয় আর ১টা চারে মিরপুরে খানিকটা ঝড় তোলেন সাব্বির। ২৬ বলে ১৫৭.৬৯ স্ট্রাইকরেটে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান। তাকে সঙ্গ দেন ইংলিশ তারকা টিম ব্রেসনান। ১৭ বলে ৪ চার ১ ছয়ে খেলেছেন ১৭ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। শেষ ৫ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬৯ রান যোগ করে সিলেট।
অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি নাসিরদের। দলীয় রানের খাতা খোলার পর পরই সাজঘরে ফেরেন ফ্লেচার। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা উপুল থারাঙ্গাকে জ্বলে উঠার আগেই নিভিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে দানুশকা গুনাথিলাকা জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন সোহানের সঙ্গে। কিন্তু তার আগেই ভাঙল সেই জুটি। সুবিধা করতে পারেননি নাসিরও। ফিরে যান ৯ রান করে। শেষ দিকে সাব্বির-ব্রেসনান মিলে দলকে এনে দেন লড়াকু সংগ্রহ।
রাজশাহীর হয়ে বল হাতে ২টি উইকেট শিকার করেছেন কেসরিক উইলিয়ামস। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মোহাম্মদ সামি, মেহেদী মিরাজ, জেমস ফ্রাঙ্কলিন এবং সামিট প্যাটেল। ম্যাচসেরা: জাকির হোসেন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন