ক্ষমতার জোরে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিহাস বিকৃত করে
আহমেদ জাফর : রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জোরে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিহাস বিকৃত করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ইতিহাসটা এক রকম, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আরেক রকম হয়। ইতিহাস নিয়ে টানাপোড়ন শুরু হয়। একারণে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে।
গত শনিবার রাত ১০টায় ডিবিসি নিউজ টকশো অনুষ্ঠানে, বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের সিনিয়র সম্পাদক আমানুল্লাহ কবীর এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ইতিহাস কখনো বিকৃত করা যায় না। কোনো না কোনো সময় সত্যটা বের হয়ে আসবেই। ৭ মার্চের ভাষণের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং তার কারণে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এ বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণে সমস্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জিয়াউর রহমান বলেছেন বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মাধ্যমে আমরা বুঝেছিলাম স্বাধীনতা অর্জিত হতে যাচ্ছে। তার কারণে সেনাবাহিনীতে আমাদের কাজ করতে আরো সহজ হয়েছে। জিয়াউর রহমান রেডিওর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ঘোষণার পর বাঙ্গালি জাতির সাহস আরো বেড়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা সেনাবাহিনীর সাপোর্ট ও দিক নিদের্শনা পেয়েছিল। স্বাধীনতা অর্জনে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা আছে। এতে বঙ্গবন্ধুর কোনো রকমের ইমেজ বা ভাবমূর্তির ও নেতৃত্বের কমতি হয়নি। ইতিহাস কখনো তাড়াতাড়ি লেখা যায় না। ইতিহাসের বাইরে কোনো কথা গ্রহণযোগ্য হয় না। এখন আসল ইতিহাস সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ হয়েছে।
সমকাল উপ-সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কো স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের সম্মান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, পুরো বিশ্বের সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সম্মান ও স্বাধীণতার চেতনা আরো অগ্রগামী হয়েছে। ১৯৭৪ সালে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুৃর ভাষণে আমরা স্বাধীনতার আভাস পেয়েছি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে নিয়ে যা বলেছেন তা অবশ্যই ইতিবাচক। এ দিবসটা যেন সব সময় পালন করা হয়। বিএনপি আগে যে সব কথা বলেছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে নিয়ে সেখান থেকে সরে আসতে হবে। শুধু বিএনপি না, সারা বিশ্ব জানে স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছেন। স্বাধীনতার ঘোষককে অস্বীকার করার উপায় নাই। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দিয়েছে বলেই ৯ মাসের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তাই আমি বলবো বিএনপিকে এ পথ থেকে সরে আসতে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন