‘চীনের ৩ দফা সুপারিশ মুখ রক্ষার’
ফাহিম ফয়সাল : চীন বলেছে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার দুইজনই তাদের খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু মিয়ানমারে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে চীন। চীনের ৩ দফা সুপারিশটা শুধুমাত্র মুখ রক্ষার জন্য। বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠান ‘নিউজ এন্ড ভিউজে’ গত সোমবার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাতিয়ায় এক লাখ রোহিঙ্গা রাখার কথা বলা হয়েছে। মেঘালয়ে মিয়ানমার এবং ভারত যৌথ সামরিক মহড়া করছে আর আমরা স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের বসবাসের ব্যবস্থা করছি। ফলে এক সময় আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরি হবে। তখন ভূ-রাজনীতিতে চীন ও রাশিয়ার প্রভাবকে ঠেকাতে ভারত ও আমেরিকার একটা হস্তক্ষেপ ঘটবে। তার প্রভাব পড়বে আমাদের জনগোষ্ঠীর ওপর।
তিনি বলেন রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ কি? তারা কোথায় ফিরে যাবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের কারণে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব বিহিন নাগরিক হয়ে গেলো। সেটাকে যদি সংশোধন করা না যায়, মিয়ানমার বলবে আমি কাকে ফেরত নিবো? মিয়ানমারের সূদুরপ্রসারি একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপকৌশলের শিকার হচ্ছে রোহিঙ্গারা।
টকশোতে সিনিয়র সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল বলেন, রাখাইন থেকে যখন রোহিঙ্গাদের ¯্রােত আসলো তখনই সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার ঘোষণা দেয় মিয়ানমার। তার অংশ হিসেবেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে কেউ হাসপাতাল করে দিতে চাচ্ছে, কেউ স্কুল করে দিতে চাচ্ছে। বেশকিছু স্থায়ী ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষণটা শুভ নয়। শরনার্থী শিবিরে সেবা, সবসময় অস্থায়ীভাবে করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী সেবা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে আমাদের একটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে। পণ্যের দাম বাড়বে।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই এইচআইভিতে আক্রান্ত। তাদের কাছে মাদক পাওয়া যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা যদি বেশিদিন থাকে তবে তা বাংলাদেশের জন্য সমস্যার কারণ হবে।