শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয় পেল খুলনা
আক্তারুজ্জামান : উইকেটে আরিফুল হকের সঙ্গে জুনাইদ খান। শেষ ওভারে খুলনার জয়ের জন্য চাই ৯ রান। আরিফুলের ওপর পড়ে ম্যাচ জয়ের ভার। রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বোলিংয়ের পাঠালেন ডোয়াইন স্মিথকে। ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান আরিফুল। দ্বিতীয় বলে ৪! দলকে এনে দিলেন শাসরুদ্ধকর জয়। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটে জয় পায় খুলনা টাইটান্স।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। শুরুতে চাপে পড়লেও ডোয়াইন স্মিথ ও মুশফিকুর রহিমের আলো ছড়ানো ব্যাটিংয়ে তা কাটিয়ে ওঠে রাজশাহী। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে দলটি। স্মিথ ৩৬ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৬২ রান করেন। মুশফিকুর রহিম ৩৩ বলে ৫৫ এবং ফ্রাঙ্কলিন ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পক্ষে জুনাইদ খান ৪টি, আবু জায়েদ ২টি উইকেট নেন।
১৬৭ রানের জবাব দিতে নেমে ১৩ রানে ২ উইকেটে হারায় খুলনা। সেখান থেকে মাহমুদউল্লার ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়ানো। ৫৬ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নিলে ফের বিপাকে পড়ে খুলনা। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে ভরসা হয়ে ওঠা অলরাউন্ডার আরিফুলেই মুক্তি মেলে দলটির। হোসেন আলির করা ১৮ তম ওভারেই মোড় ঘুরে যায় খেলার। ওই ওভার থেকে আসে ১৮ রান। আরিফুল একটি ছক্কার সাথে মেরেছিলেন দুটি চারের মারও। মাত্র ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৩ রান করে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন ২৫ বছরের আরিফুল। দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন আরিফুল হক। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন