মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রত্যাশা চীনের
প্রিয়াংকা পান্ডে: মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিং অং হ্যাং এখন চীন সফর রয়েছেন। তিনি গত মঙ্গলবার চীনের জয়েন্ট স্টাফ ডিপার্টমেন্ট অব দি চাইনিজ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন প্রধান জেনারেল লি জউজেংয়ের নিমন্ত্রণে চীন সফরে গেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার কথা আলোচনা করেন। এই বৈঠকে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার বিষয়ে তাদের কথা হয়।
বুধবারের ওই বৈঠকে লি বলেন, ‘বর্তমানে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জটিল ও পরিবর্তনশীল অবস্থার জন্য দুটি দেশের মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগকে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় চীন।’ তিনি আরো বলেন, ‘ দুটি দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্কে আরো দৃঢ়তা চায় চীন। সীমান্ত নিরাপত্তার খাতিরে আরো উন্নত প্রশিক্ষন ও কারিগরি উন্নয়ন প্রয়োজন।’ সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে কথা হলেও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কোন কথা বলেনি চীন।
কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই চীন ও মিয়ানমারের সম্পর্ক বরাবরই বেশ ভালো। তেল- গ্যাসক্ষেত্র নিয়েও দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখা গিয়েছে সব সময়। কিন্তু সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের অত্যাচারের পরও চীনের সমর্থন সমালোচনার শিকার হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। শরনার্থী হিসেবে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশে স্থান নিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ থেকে মিয়ানমারের এই কর্মকান্ডকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ করার প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রয়টার্স