বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি অযৌক্তিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত
জাফর আহমদ: বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে ব্যক্তি জীবনে নেতিবাচক পড়বে। এতে মানুষের খরচ বেড়ে যাবে। অন্যদিকে উৎপাদনে বিদ্যুৎ মধ্যবর্তি পণ্য হিসাবে উপাদনের খরচ বাড়বে। এর ফলে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ব্যয় বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অবিচেনা প্রসূত, অন্যায্য ও অযৌক্তিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ব্যবস্থাপনার উন্নতি করার তাগিদ দিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ সরাসরি খরচ বৃদ্ধি ও পণ্যমূল্য বৃদ্ধিজনতি অবস্থার মুখোমুখি হবে। কুইক রেন্টালের উচ্চ দামে বিদ্যুৎ না কিনে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ ও তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। যা সরকার করতে পারছে না।
এদিকে রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো সরকারের দুই অপরাধ বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন-প্রথমত, অবৈধ রেগুলেটরি কমিশন। আর সেই রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো আরেক অপরাধ। সরকারের রেগুলেটরি কমিশনেরই প্রয়োজন নেই। হিসাব করে দেখা গেছে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব। সরকার সেখানে বিদ্যুতের দাম বাড়ালো। সরকারে বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতি ও অব্যবস্থার যোগান দেওয়ার জন্য টাকার দরকার। এ কারণে সরকারের এ উদ্যোগ।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো শুধুই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয়, এই দাম বাড়ানোর ফলে বাড়িভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। এরফলে সামগ্রিকভাবে জীবন নির্বাহে নেতিবাবক প্রভাব পড়বে।
কিছু অতি উৎসায়ি লোক সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বলে মনে করেন ক্যাব-এর সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পগুলো সরকার দ্রুত শেষ করেনি। ডিজেল চালিত বেশি খরচের কুইক রেন্টালের দিকে না গিয়ে কম খরচের ফার্নেস-অয়েল চালিত কুইক রেন্টালের দিকে যাওয়া উচিত ছিল, সরকার সেটাও করেনি। এখন যেটা হচ্ছে কুইক রেন্টালের উচ্চমূলের বিদ্যুৎ কিনতে যে টাকা গুনতে হচ্ছে তা সামাল দিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। সম্পাদনা : নূর মোহাম্মদ