লিবিয়ায় অবস্থান করা আফ্রিকান শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে রুয়ান্ডা
অরণ্য কাশ্যপ : লিবিয়ায় আটকে পরা আফ্রিকান শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রুয়ান্ডা। বৃহস্পতিবার লিবিয়ায় ক্রীতদাস হিসাবে থাকা হাজার হাজার আফ্রিকান শরণার্থীকে যথাসম্ভব পুনর্বাসনে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।
ভাগ্যান্বেষণের তাগিদে মূলত দারিদ্র্য ও অতি উষ্ণ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে লিবিয়া হয়ে ইতালি যেতে চায় বহু আফ্রিকান। তবে সুন্দর ভবিষ্যতের আশা ভঙ্গ হয়ে অনেকে সেখানে আটকা পরে এবং বেশিরভাগ সময় ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি হয়ে যায়।
রুয়ান্ডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্বাসনের পথে যাওয়া আফ্রিকান নারী-পুরুষ ও শিশুদের আটকে ক্রীতদাস করে রাখার জন্য আমরা দুঃখিত। মানুষকে কেন এভাবে গবাদি পশুর মতো নিলাম করা হবে? রুয়ান্ডার রাজনৈতিক আদর্শ অনুযায়ী, আমরা নীরব থাকবো না।’ রুয়ান্ডার ইতিহাসের রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৯৪ সালে জাতি বৈষম্যের জের ধরে পরিচালিত গণহত্যায় প্রায় ৮ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘আমাদের নির্মম ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই আমাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি।’ আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ রুয়ান্ডা। তারা লিবিয়া থেকে আনুমানিক কতজন শরণার্থীর পুনর্বাসন ব্যবস্থা করবেন তা জানা যায়নি। তবে আফ্রিকান ইউনিয়নের নবনিযুক্ত প্রধান মোউসা ফাকি মাহামাত রোববার এক টুইট বার্তায়, ৩০ হাজার শরণার্থীকে পুনর্বাসিত করার প্রস্তাব দেন। গত সপ্তাহে প্যারিসে অবস্থিত লিবিয়া দূতাবাসের বাইরে শতাধিক প্রতিবাদী জনগণ বিক্ষোভ করে। তাদের স্লোগান ছিলো, ‘লিবিয়ায় ক্রীতদাস ও শরণার্থী শিবির বন্ধ হোক।’ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর লিবিয়া থেকে প্রায় ৯ হাজার শরণার্থীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস