বনপাড়ার সুনীল গমেজ হত্যায় ১২ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক : নাটোরের বনপাড়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং একজন ফাদারের ভাই সুনীর গমেজ হত্যায় শীর্ষ ১২ জেএমবি সদস্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশির্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নাটোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ ও আমলি আদালতের বিচারক খোরশেদ আলমের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।
১৫ নভেম্বর, দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই জেএমবির সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গমেজকে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে ২০১৬ সালের ৪ জুন নাটোর রাজবাড়িতে বৈঠকে জেএমবি নেতা রাজিব গান্ধী খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গমেজকে হত্যার জন্য হত্যার দায়িত্ব বন্টন করে’। তিনি আরো বলেন, আর রাজিব গান্ধীর দেয়া নির্দেশনায় ২০১৬ সালের ৫ জুন জেএমবি সদস্য মতিউর রহমান হৃদয়, মাহফুজুর রহমান, মাহমুদুল কবির, আবু মুসা ও নজরুল ইসলাম খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গমেজকে বড়াইগ্রামের বনপাড়াস্থ খ্রিস্টান পল্লীতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কুপিয়ে হত্যা করে। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে হত্যার খবর পাঠানো হয় জেএমবির শীর্ষ নেতাদের কাছে।সুনীর গমেজ হত্যার প্রতিবাদ জানায় স্থানীয় জনগণ। ব্যবসায়ী সুনীল গমেজ হত্যা মামলায় ১২ অভিযুক্তরা হলেন- তামিম চৌধুরী, সারোয়ার জাহান, মামুনুর রশিদ রিপন, মেজর জাহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম খালিদ, নূরুল ইসলাম মারজান, জাহাঙ্গীর হোসেন সুবাস ওরফে রাজিব গান্ধী, মতিউর রহমান হৃদয়, মাহফুজুর রহমান, মাহমুদুল কবির, আবু মুসা ও নজরুল ইসলাম। অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে সাত জেএমবি সদস্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, আবু মুসা, সারোয়ার জাহান, মেজর জাহিদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম মারজান, তামিম চৌধুরী।
অভিযোগপত্রের শুধুমাত্র জাহাঙ্গীর হোসেন সুবাস ওরফে রাজিব গান্ধী আটক রয়েছেন। বাকি চার অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালিদ, মাহমুদুল কবির ও মতিউর রহমান হৃদয় পলাতক রয়েছেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুল হাই জানান, দ্রুততম সময়ে চার্জশিট জমা দেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সূত্র: ঢাকা টাইমস
প্রসঙ্গত, বনপাড়ায় সুনীল গমেজের হত্যার ঘটনার পর নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় খ্রিস্টানরা বেশ কয়েক মাস রাত্রে নিজেরা পাহারার ব্যবস্থা করেন।