খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক : পূণ্য পিতা পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পোপের সফরের নিরাপত্তা নিয়ে ২২ নভেম্বর, পুলিশ সদর দপ্তরে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় পুলিশ প্রধান এ.কে.এম.শহীদুল হক বলেন, “পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের অন্যতম একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। তার বাংলাদেশে সফর আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের।‘পোপের সফরকালে পুলিশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সফরের স্থানগুলোতে গমনকালে পুলিশ পোশাকে এবং সাদা পোশাকে এবং র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।’ পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পোপের সফরকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিবিড়িভাবে তদারকি এবং তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে সভায় পুলিশ প্রধান জানান । এছাড়া ব্লক রেইডের মাধ্যমে তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পোপের সফরকে কেন্দ্র করে কোনো গোষ্ঠী যাতে অহেতুক গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তদারকির জন্য পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান পোপের সফর উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ক্যাথলিক বিশপদের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে আগামী ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে আসছেন পোপ ফ্রান্সিস। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনা অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করবেন পোপ। ওই অনুষ্ঠানে ষোলজন ডিকনকে ধর্মযাজক পদে অভিষিক্ত করবেন তিনি। বাংলাদেশে আসার আগে মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় এদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। অন্যদিকে, পুলিশকে সাহায্য করার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৫০জন স্বেচ্ছাসেবককে। তাদের করণীয় কি, সেই বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন আয়োজক কমিটি।