পূর্ব-জন্মেও কথা যে স্মরণ করতে পারে তাকে জাতিস্মর বলে। মানুষ মৃত্যুও পর আবার জন্মগ্রহণ করে এই বিশ্বাসের ওপর এর ভিত্তি। অতি প্রাচীন কাল থেকে ভারতবর্ষ ও দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধর্ম-বিশ্বাস প্রচলিত। সাহিত্যেও এর গভীর প্রভাব দেখা যায়। মহাভারতের কয়েকটি জায়গায়া এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বৌদ্বধর্ম ও জাতকে এর প্রবল রুপ পাওয়া যায়। গৌতম বুদ্ধ দিব্যজ্ঞান লাভের প্রথমে জাতিস্মর জ্ঞান লাভে করেন। জাতকের কাহিনীগুলো গেীতম বুদ্বের পূর্ব-জন্মের ঘটনা জাতিস্মর-শৈলীতে লিখিত। তিনি পূর্ব-জন্মেও কথা স্মরণ করে এই কাহিণীগুলো বর্ণনা করেছেন। পরবর্তীকালে ‘কথাসরিৎসাগর’ ইত্যাদি গ্রন্থে জচাতিস্মর মানুষ ও পশুপাখির নানা কাহিনী পাওয়া যায়। জৈন ধর্মগুরুরা জাতিস্মর ক্ষমতার অধিকারী। ইসলাম ও খ্রিস্টধর্ম জন্মান্তরবাদ স্বীকার করে না। আধুন্কি পাশ্চাত্য জাতিস্মরতা অবলম্বন কওে কাল্পনিক কাহিনী রচিত হচ্ছে। জ্যাক লগুন, আর্থার কোনান ডয়েল, সমারসেট মম প্রভূতি লেখকের নাম এ প্রসঙ্গে স্মরণীয়। সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যেও জাতিস্মরমূলক কাহিনী পাওয়া যাচ্ছে। জাতিস্মরতত্ত্বের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়ার জন্য নানা জায়গায় গবেষণা চলেছে।