ইউনেস্কোর বিপন্ন তালিকায় তুরস্কের ‘পাখি ভাষা’
পরাগ মাঝি : ইলমাজ! বলো তোমার কি চাই।
-আমাকে দুই টুকরো রুটি দাও। আর তুমি এখানে আসো।
-আমার পায়ে ব্যথা।
-ঠিক আছে।
একটি ভিডিওচিত্র দেখে আপনি হয়তো শুনবেন দুটি মানুষ পাখির মতো করে ডাকছে। কিন্তু আসলে মানুষগুলো ওই পাখির ডাকের মত করে উপরের কথাগুলো সেরে নিয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে এই পাখি ভাষাটি প্রচলিত। দূরের কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এটি একটি মোক্ষম ভাষা। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার লোক এ ভাষায় কথা বলে। যদিও এক সময় এ ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতো অসংখ্য লোক।
তুরস্কের ‘কৃষ্ণ সাগর’ অঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলকে পাখি ভাষার ভূমিও বলা হয়। সম্প্রতি তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী পাখি ভাষাকে বিপন্ন ভাষার তালিকায় যোগ করেছে জাতিসংঘের ইউনেস্কো। পাখি ভাষা সংরক্ষণ দলের কর্মকর্তা সেরেন কসেক বলেন, ইউনেস্কোর এই ঘোষণার ফলে অনেকেই পাখি ভাষার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। টিআরটি
পাখি ভাষাকে মানুষের সৃষ্টিশীলতার এক অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে মন্তব্য করেছে ইউনেস্কো। সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে ইউনেস্কো দাবি করে ভাষাটি খুব দ্রুততার সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে। এটিকে পৃথিবীর বুকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন