চাকরিবিধিতে ক্ষমতা বেড়েছে সুপ্রিম কোর্টের Ñআইনমন্ত্রী
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা আরও বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের সঙ্গে আলাপ-আলাচনা করেই বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আমার মনে হয় সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কোথাও ক্ষুণœ করা হয়নি, বরং একটু বাড়ানো হয়েছে। বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, যেখানে রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের মধ্যে ভিন্নতা থাকবে, সেই ভিন্নতা থাকলে সুপ্রিম কোর্টের যে পরামর্শ, সেটা প্রাধান্য পাবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা তো সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করিনি।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি নিয়ে সমালোচনার জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা বুঝুক আর না বুঝুক, সমালোচনার জন্য তাদের সমালোচনা করতে হবে। তাদের যে ওয়াইডার পরিকল্পনা ছিল, তা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড়কুটো ধরে তারা সমালোচনা করছেন।
তিনি বলেন, তারা ’৭৫ সাল থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত সংবিধানকে নিয়ে অনেক ফুটবল খেলেছেন। আমরা আর কাউকে সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলতে দেবো না। আমরা যে আচরণবিধি করেছি তা সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে শিরোধার্য করে, সেখানে যা বলা আছে সেই মোতাবেক করেছি। রুল ২৯ এ তা পরিষ্কার ভাবে বলা আছে। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে যে এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এই আচরণবিধি তৈরি করেছেন। তিনি সব ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনাও করবেন।
এই আচরণবিধিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার যদি সংবিধানের ১১৬(ক) সংশোধন করতে যেতাম তাহলে বিচারপতিরা বলতে পারতেন স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারবেন না। এখানে বলা আছে, বিচারকরা সম্পূর্ণ স্বাধীন, ৯৪(৪) অনুচ্ছেদেও তা বলা আছে।