অস্ত্রের জোরে কূটনৈতিক বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার!
মাসুদ রানা
মার্কিনীদের রূপতঃ ‘বাঁকা ঘাড় সোজা’ হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার কেশাগ্রও স্পর্শ করা যায়নি। শেষপর্যন্ত বিনাশর্তে উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ল-ন থেকে প্রকাশিত দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে ‘টঝ ৎবধফু ভড়ৎ ঃধষশং রিঃয ঘড়ৎঃয কড়ৎবধ ‘রিঃযড়ঁঃ ঢ়ৎবপড়হফরঃরড়হং’, ঞরষষবৎংড়হ ংধুং’ – অর্থাৎ, উত্তর কোরিয়ার সাথে ‘পূর্বশর্ত ছাড়া’ই আলোচনার জন্যে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র, বলেছেন [মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী] টিলার্সন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোন্যাল্ড ট্রাম্প যতোই ভয় দেখাতে হুঙ্কার দিয়েছেন, কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং-উনের প্রতি, উত্তরে কিম জং-উন তাঁর দেশের পারমাণবিক উৎক্ষেপণ ক্ষমতা ততোই বৃদ্ধি করে সন্দেহাতীতভাবে দেখিয়েছেন যে, মার্কিন মুল্লুক উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বোমার আওতার মধ্যে রয়েছে। অদ্য মার্কিন ভীতি-প্রদর্শন নিঃশেষিত হলো। পৃথিবীর সকলের তথাকথিত ‘শান্তির প্রস্তাব’ উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া আত্মরক্ষার্থে পারমাণবিক প্রতিরক্ষাকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া বলেছে, ইরাকের সাদ্দাম হোসেইন ও লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফি মার্কিন তথা সা¤্রাজ্যবাদীদের আশ্বাসে পারমাণবিক কর্মসূচিতে না যাওয়ার ফলে অতি সহজেই মার্কিনীদের হাতে বিধ্বংসিত হয়েছেন। আর, তা দেখে উত্তর কোরিয়া এই শিক্ষা নিয়েছে যে, বাঁচতে হলে পারমাণবিক বোমা ও তার উৎক্ষেপণ ক্ষমতা অর্জন করতেই হবে। উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় বসতে সম্মত ছিলো আগে থেকেই, কিন্তু শর্ত ছিলো যে, কোনো শর্ত দেওয়া যাবে না। উত্তর কোরিয়া আজ কূটনৈতিক যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করেছে, যা মার্কিন পরারাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলার্সনের পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনার আহবানের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের মানতেই হবে, উত্তর কোরিয়ার এই কূটনৈতিক বিজয়ের পেছনে আছে তার সদ্য অর্জিত পারমাণবিক অস্ত্রের জোর। এখন উত্তর কোরিয়া স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মাথা উঁচু করে সমান মর্যাদা নিয়ে বসবে। উত্তর কোরিয়ার এই বিজয় বিশ্বের সকল স্বাধীনতাপ্রিয় জাতির জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
ল-ন, ইংল্যা-/ফেসবুক থেকে