অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে দুই চারজন গ্রেপ্তার করে, সাজা দিয়ে কোনো কাজ হবে না। ক’দিন পরে জামিনে মুক্ত হয়ে সেই একই ব্যক্তি আবার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে সবাইকে আইনের আওতায় আনাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রশ্ন ফাঁসের সিন্ডিকেট সবসময়ই সচল থাকে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ফাঁস পুরোপুরি রোধ করতে পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল করে শতভাগ লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ এখনই করতে হবে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন তৈরি করা যাবে না। ঠিক পরীক্ষা শুরুর পনের মিনিট আগে প্রশ্ন তৈরি করে কেন্দ্র থেকে প্রিন্ট দিয়ে পরীক্ষার হলে পঠিয়ে দিতে হবে। বৃত্ত ভরাট পদ্ধতি প্রশ্নফাঁসকে উৎসাহিত করে। যদিও লিখিত পদ্ধতিতে পরিক্ষার ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় বেশি লাগবে, তবুও লিখিত পদ্ধতি ছাড়া এখন আর কোনো উপায় দেখছি না। প্রশ্ন ফাঁস দুটি কারণে হয়ে থাকে। এক. অর্থের কারণে, দুই. সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল চক্রান্ত করে প্রশ্নফাঁস করে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রশ্নফাঁস সংক্রমণ ব্যধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে প্রশ্ন চলে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে শহর, কোথাও বাকি নেই। সব জায়গায় প্রশ্নের উৎসব। সরকারের একার পক্ষে এই উৎসব বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা যারা টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনছি, তাদেরকে সচেতন হবে হবে। নিজেরা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছি। তাই প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পরিচিতি : ভিসি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহন : লিয়ন মীর /সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ