কবীর চৌধুরী তন্ময় : দেশের সমসাময়িক কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করলে আমরাও অনেক সময় মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে নিজের জীবন বাঁচানোর দৌঁড়ে আছি! আর মিথ্যা আজ এতোটা গভীরে শিকড় গেড়েছে, অনেক সময় সত্যকেও সত্য মনে হয় না! ৭৫-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মিথ্যার শুধু অভয়ারণ্যই সৃষ্টি হয়নি; বরং এই মিথ্যাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিতও করেছিল। সেই অভিশাপ থেকে জাতি আজও বের হতে পারেনি। গল্পের রাজার মতোই সমাজ-রাষ্ট্রের অধিকাংশ প্রতিনিধি মিথ্যা প্রশংসা শুনে-শুনে মহাখুশি। কারণ তারা সত্য উলব্ধি করার জ্ঞান-দক্ষতা শূন্য। তাই সত্য শোনার সাথে-সাথে বালকের মতই অবস্থা করার ব্যবস্থা করতে নেমে পড়েন। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর, নোবেল কমিটিতে শেখ হাসিনার নাম উঠার খবর, সেনাবাহিনী কর্তৃক নতুন করে চক্রান্তের খবরের সাথে যুক্ত হয়েছিল জনপ্রিয় মেয়র আনিসুল হকের কাল্পনিক চরিত্রের খবর! খবরগুলো খবরের পাতায় না এসে গুঞ্জনের পাতায়-পাতায় শোভা পেয়েছিল! আর ওমনিতেই হুমড়িখেয়ে পড়েছিল কতিপয় ব্যক্তি ও মহল। একান থেকে অন্যকান। স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকে ইনবক্সে-ইনবক্সে মেসেজ চালাচালি করলেও একান্ত আড্ডাগুলোতে ঠিকই এটাকে আলোচনার শিরোনাম করতে ভুল করেনি।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ