এস. আল-মামুন : গণসংস্কৃতি দল ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। গণসংস্কৃতি দলের প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে দু’জন ব্যক্তির নাম শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি। একজন প্রয়াত ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, অন্যজন প্রয়াত চলচিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম। ১/১১ এর পর বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল, ঠিক সে সময় দলটি আত্মপ্রকাশ করে। সে সময় এক ঝাঁক তরুণ ছাত্র নেতৃবৃন্দ, তরুণ সাংবাদিক কর্মী ও সাংস্কৃতিক মনা ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা পায়। সেই সময় দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ভীষণ ধরণের তাড়া ছিল তখনকার অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের জন্য কিছু করার। তারা কিছু বলতে চায় এই অবস্থার বিরুদ্ধে। বলতে পারেন, সে অবস্থা থেকে এখনো আমরা বের হতে পারিনি। গণসংস্কৃতি দল স্বতন্ত্র ফ্লাটফর্মে সে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মেহনতি, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে পাশে থাকা। আর সেই সংগঠনটি হবে গণমানুষের সংগঠন। গণসংস্কৃতি মানে আপমর মানুষের সংস্কৃতি। এটি শিল্প-কলাভিত্তিক কোনো সংগঠন নয়। এই সংগঠনের ভেতরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, পোশাক-পরিচ্ছেদ, খাওয়া-দাওয়া সব কিছুই মুক্তির দাবি থাকবে। সামাজিক পরিবর্তনের জন্য যারা কাজ করছে তাদের আমরা সুসংগঠিত করছি। আমরা কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে যাচ্ছি। আমরা তরুণদের বলছি, তোমরা রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়ো না।
একটি ন্যায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা যারা করে, আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি। মনে রাখতে হবে, সবার আগে দেশ। স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আমরা কিন্তু স্বাধীন হয়েছি বলতে পারছি না। যে জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, সে লক্ষ্য কি অর্জিত হয়েছে? আমরা সুরাজনীতির গ্যারান্টি চাই। মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই।
পরিচিতি : সভাপতি, গণসংস্কৃতি দল
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন