রোহিঙ্গা বিষয়টিতে সারা বিশ্বে যেভাবে জনমত তৈরি হয়েছিল , সেভাবে বাংলাদেশ এই বিষয়টিকে সমাধান করার জন্য সেই ধরণের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই বিষয়টিকে দ্বিপাক্ষিক না করে আন্তর্জাতিকভাবে সমাধান করার প্রয়োজন ছিল। তারপরও যে সমঝোতা বা যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। রোহিঙ্গারা যে ফেরত যাবে তাদের সেখানে পুণর্বাসনের যে ব্যবস্থা করার প্রয়োজন, সেটা চুক্তির মধ্যে পরিস্কারভাবে ছিল না। তারপর তাদের ক্ষতিপূরণ।
তাদের তো অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেই গুলো দিবে কি-না? আবার তাদের হত্যাকান্ডের বিচার হবে কি-না? এগুলোও উল্লেখ করা হয়নি। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কি-না ? সেটাও অস্পষ্ট রয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলো পরিস্কার করে আলোচনা করা উচিত ছিল। সমঝোতা স্মারকে সেটা অপরিস্কার রয়েছে। একদিকে দ্বিপাক্ষিকভাবে বিষয়টি সমাধান করা খুবই জটিল। আগে বিভিন্ন শক্তি এটার সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু এই সমঝোতা সাক্ষরের ফলে মিয়ানমার বর্হিবিশ্বকে দেখানোর সুযোগ পেয়েছে যে, আমরা রোহিঙ্গা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি। ফলে যে চাপটি বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি এখন আর নেই। বিশ্বে এই বিষয়টি এখন শিথীল হয়ে গেছে। এই দিকে মিয়ানমারও বিষয়টিকে আগের মতো করে গুরুত্ব দিচ্ছে না। যেহেতু তারা সমাধানের নামে একটি সময় নিয়েছে, আমার ধারণা এটি একটি কালক্ষেপণে চলে গেছে। এখন আমার মতে, আমাদের দেশে একটি জনমত সৃষ্টি করতে হবে। যাতে এই বিষয়টি পুরো বিশ্বের কাছে আমরা পুনঃরায় উপস্থাপন করতে পারি। আমরা শক্তিশালী একটি মতামত উপস্থাপন করবো যে, মিয়ানমার আমাদের সাথে সমঝোতার নামে চুক্তি করে কালক্ষেপণ করছে। না হলে এককভাবে এটাকে সমাধান করা সম্ভব নয়।
পরিচিতি : রাজনীতিক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ