বছর তিন হবে। চট্টগ্রাম থেকে ফিরছি। হঠাৎ মূহর্মুহু ফোন…. “অভিনন্দন, আপনাকে কন্যা হিসেবে গ্রহণ করার কোনো কাগজ পত্র আছে নাকি? প্রথমে কিছুক্ষণ বুঝিনি, পরে সাংবাদিক বন্ধুরাই পরিস্কার করেছেন, চট্টগ্রামের বরেন্য নেতা, সাবেক মেয়র মহীউদ্দিন চৌধুরি স্বাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ পেয়ে সকলে আমার অনুভূতি জানতে চেয়েছেন। আমি?
আমি বিস্মিত অভিভূত!
আমরা সাংবাদিকরাই বোধহয় এমন… সবটাতেই কারণ খুঁজি, অকারণ খুঁজি, কাগজ পত্র.. ডকুমেন্ট খুঁজি। মহীউদ্দিন চৌধুরি আর মুন্নী সাহার পিতা-কন্যার সম্পর্ক যদি প্রচার হয়… তাহলে তো খোঁজাখুজি আরো বেশী! তাই চট্টগ্রামের প্রায় সব সাংবাদিক বন্ধুদের একটি ঘটনাই বললাম… সাধারনের এই নেতা ২০০৭/২০০৮ জেলে ছিলেন, অন্য অনেক বড় নেতাদের মতই। সে সময় তাঁর এক কন্যা মারা যান। প্যারালে মুক্তি পেয়েও অসুস্থ্য সে মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে পাননি চট্টলার এই জননেতা। আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ঢুকেছেন। তাঁর লোকজন দিয়ে খবর দিলেন, আমাকে দেখবেন। গেলাম, নিয়ম কানুন মেনেই…! মহীউদ্দিন চৌধুরি তাঁর টিপিক্যাল চাটগা উচ্চারণে বলছেন, “আপনার জন্য পেট পোড়ে, টুম্পা চলে যাওযার পর, আরো বেশী পোড়ে— জেল খানায় তো টিভিও দেখতে পারিনা! তাই অশোক রে বলছি।ই “পেটপোড়ার “ কি কোনো গ্রামার আছে? ঘটনাটা বলে আমিই পাল্টা প্রশ্ন করেছি, ফোনে আমার অনুভূতি জানতে চাওয়া সাংবাদিক বন্ধুদের। তাঁর সাথে নানান সময়ের নানান স্মৃতি। যখনই উল্টেপাল্টে একেকটা ঘটনার প্যান্ডোরা খুলি, পরতে পরতে যেন একটু এক্সট্রা বাৎসল্য এক্সট্রা বকাঝকা। আমি জানি, চট্টগ্রামে পা রাখলেই, আমার বুকটা খালি খালি লাগবে। এরও কোনো গ্রামার নাই! যেখানে থাকুন, এই মিলিয়ন ডলার হাসি নিয়ে থাকুন, সম্পর্কের গ্রামারহীন আমার পিতা!
পরিচিতি : প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএন নিউজ/ ফেসবুক থেকে