ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী : আমি তখন জার্মানীতে। আমি ওখানে থেকেও বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেছি। জার্মানীতে বাঙালি বেশি ছিল না। বেশির ভাগই ইন্ডিয়ান। তারা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতো। আমরা রেডিও আর জার্মান টিভির মাধ্যমে খবর পেতাম। ইন্ডিয়ান এ্যাম্বাসী আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছে। আমরা অনেক আগে থেকেই জানি, বাংলাদেশ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। আমরা রেডিও টিভিতে ইন্টারভিউ দিচ্ছি। বাঙালিরা সংগ্রাম করছে। অঞ্চলের পর অঞ্চল মুক্ত করে চলেছে। এল ১৬ ই ডিসেম্বর। সে কি দিন! আমরা চিৎকার করে আনন্দ প্রকাশ করছি। ওখানে যাকে পাচ্ছি তাকেই জড়িয়ে ধরছি। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধ শেষ হয়েছে। দেশে ফিরে যাবো। ১৭ তারিখ আমরা পতাকা দিবস হিসেবে পালন করলাম। পতাকা উড়ালাম । যুদ্ধ জয়ের প্রকৃত আনন্দ যেন পতাকায় লুকিয়ে আছে। দেশে ফিরে এলাম। পূর্ণ আনন্দ পেলাম না। কারণ, বঙ্গবন্ধু ছাড়া পান নি। ৫০০ জন বুদ্ধিজীবি নিখোঁজ। আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম। মুনির চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ফজলে মুহিন যাদেরকে চিনতাম তাদেরকে খুঁজছি। মিরপুর বধ্যভূমিতে পৌঁছে তাদের চেহারা ছবি চোখের ওপর ভেসে উঠলো।
পরিচিতি : সাবেক ভিসি, ঢা.বি.
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ