উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আজ তাদের সামনে বলছি, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়বো এটা হলো আমার আজকের শপথ। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
গতকাল শনিবার, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগ দেওয়া জন¯্রােতের সঙ্গে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এই অঙ্গীকারের কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষন আন্তজাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধেও মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের কারনেই বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। নতনু প্রজন্মকে এই গৌরব ধরে রাখার আহ্বা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারো কাছে মাথানত করে থাকবো না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের পরিবারের দীর্ঘ নয়মাসের বন্দী জীবনের কথা বলেন।
এছাড়া তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের প্রসঙ্গ এনে বলেন, ঘাতকরা আমার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে ঠিকই কিন্তু ইতিহাস থেকে সত্যিটা মুছে দিতে পারেনি। তিনি দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন। এরপর গণভবন থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেন। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের ঢলে পুরো এলাকা ছিলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ। দেখা গেছে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উদ্যানে প্রবেশ করে। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে পুলিশি প্রহরায় মেটাল ডিটেক্টও মেশিন দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে উদ্যানের ভেতরে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করে তাকালে চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ গোল করে বসে খোশগল্পে ব্যস্ত, কেউ উদ্যানে হেঁটে বেড়াচ্ছেন আবার কেউবা আবার বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে বসে দাঁড়িয়ে দেশাত্মবোধক গান শুনছেন। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পীরা একের পর এক সংগীত পরিবেশন করে আগতদের মনোরঞ্জন করেন।
উদ্যানেরভেতর ফুল, চুড়ি, গহনা, খাবারের দোকান বসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত সাড়ে ৭টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন।