রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী স্পিকার, রওশন এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা
হুমায়ুন কবির খোকন ও শাকিল আহমেদ : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ,বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া শ্রদ্ধা জানান। পরবর্তীতে বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিক, স্বাধীনতাযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর আমন্ত্রিত সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মানুষের ঢল: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। প্রধান ফটক খুলে দেয়ার পর বাঁধ ভাঙা জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধায় জাতির বীর সন্তানদের স্মরন করতে গতকাল খুব সকালে লাল সবুজের পতাকা ও বিভিন্ন রঙের ফুল নিয়ে লাখো মানুষের পদচারনে মুখরিত হয়ে উঠে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। সবার হাতে ফুল আর লাল-সবুজ পতাকা কারও হাতে বিভিন্ন সেøাগান লেখা ব্যানার-ফেস্টুন। এসময় নিজ নিজ দলের সেøাগান দিতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পন্থী সর্মথকদের।
স্মৃতিসৌধে মায়ের সাথে শ্রদ্ধা জানাতে আসা ১০ বছরের আদুরি বলেন, আমি শুনেছি আজকের এই দিনে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাই আম্মুর সাথে ফুল দিতে এসেছি। আদুরির আম্মু বলেন, বাচ্চাদের মধ্যে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে এখানে নিয়ে এসেছি। না হয় ওরা সঠিক কিছু জানবেনা। এবং প্রত্যেকেরই এটা করা উচিত তাহলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ কমে যাবে।
বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে সরকারের কাছে মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেন, বিজয় দিবসের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে আবারও তারা যুদ্ধে যেতে রাজি আছেন। পাশাপাশি তরুণদেরকেও এই চেতনা লালন করে দেশকে এগিয়ে নেবার আহ্বান জানান তারা। একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে এবং হচ্ছে এই স্বস্তি নিয়ে আজ স্মরণ করছি দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের।