জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের পরিকলপনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।্ আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীল দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী যাচাই বাছাইয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি দলই বেছে নিচ্ছে ভিন্ন কৌশল।
জানা যায়, বিএনপি আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার ছেলে বিগত নির্বাচনের প্রার্থী তাবিদ আউয়াল ছাড়াও তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে প্রার্থী করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। একইভবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের পূর্বের প্রার্থী প্রয়াত আনিসুল হকের জায়গায় নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করতে- ক্লিন ইমেজের প্রার্থী অনুসন্ধান করছে। ইতিমধ্যে ডা. এইচ বি এম ইকবাল, আলাউদ্দিন নাসিম, আতিকুল ইসলাম, সালাম মোর্শেদীসহ যাদের নাম মনোনয়নের জন্য আলোচিত হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে নিয়েই আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা রয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা চান বিতর্কের বাইরের একজন নতুন মুখ। আর সেই জন্যেই আলোচনায় থাকছে শেখ পরিবারের একজন সদস্য। তিনি হলেন- বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা ও শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফ। তাকে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করে চমক দেখানোর কথা ভাবছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা। শেখ মারুফ সুবিধা ভোগিদের বাইরে দেশ, জনগণ ও দলের জন্য কাজ করে যাওয়া একজন সজ্জন ব্যক্তি। ১৯৭১ সালে দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মারুফ ছিলেন মুজিব বাহিনীর সক্রিয় সদস্য।
১৯৭৫ সালে ঘাতকদের হামলায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান শেখ মারুফ। পরবর্তীতে মেঘালয়ের পাহাড়ে ও জঙ্গলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে সশস্ত্র বিপ্লবে অংশ নেন তিনি।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর যখন দলকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়, তখন পরিবারের সদস্য হয়েও শেখ মারুফ ঢাকা সিটি যুবলীগের সদস্য হন। পরবর্তীতে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রিড়া সম্পাদক ও পরে প্রচার সম্পাদক হন তিনি। গত কয়েক দফায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রিড়ামোদী শেখ মারুফ আবাহনী ক্লাব পুনর্জাগরণে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় শেখ মারুফ ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথেও জড়িত।