সুশান্ত সাহা : রাজধানীর শুক্রাবাদের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে রফিকুল হাসান রিমন নামের এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। রোববার রাত ১২টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ।
জানা যায়, সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রিমনের। তাদের ২ সন্তান রয়েছে। স্ত্রী থাকেন সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোডে তার বাবার বাসায়। রিমন উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। রনি নামের এক বন্ধুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত রফিকুল হাসান রিমনের লাশের সঙ্গে তার গলার চেইন এবং সঙ্গে থাকা তিনটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। পেশাদার ছিনতাইকারীদের কবলে পড়লে গলার চেইন এবং মোবাইল নিয়ে যেতো। এছাড়া তার হাতে এবং বুকে জখমের চিহ্নহ্ন দেখে মনে হয়েছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, আমরা সবগুলো বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত শুরু করেছি। তার গলার চেইন ও সঙ্গে থাকা মোবাইল খোয়া যায়নি। পারিবারিক বা অন্য কোনো কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাসায় থাকতেন ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল হাসান রিমন। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় তার দুই সন্তান সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় মায়ের কাছে থাকতো। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে তিনি স্ত্রীর বাসা থেকে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে বের হন। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রাতে সন্তানদের স্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়ে উত্তরায় ফিরছিলেন। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি। এমনকি তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ১৭ ডিসেম্বর তার বাবা খলিল উল্লাহ নিউমার্কেট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নং ৯০১।
নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বলেন, গত রোববার মধ্যরাতে শুক্রাবাদের ১৫ নম্বর কাঁচাবাজার এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্টে তার লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিউমার্কেট থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু