ফকির হাসান আলী, বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে সংরক্ষিত আসনের এমপি হ্যাপি বড়ালের মেয়ে অদিতি বড়ালের উপর হামলার ঘটনার ২ দিন পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে মহিলা এমপি হ্যাপি বড়াল নিজে বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এদিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
মামলার বরাত দিয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, ২০০০ সালের ২০ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা নারী সাংসদ হ্যাপি বড়ালের স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা কালিদাস বড়ালকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় দীর্ঘ একযুগ পরে জড়িতদের কয়েকজনকে আদালত মৃত্যুদ-, যাবজ্জীবন সাজা দেয়। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে খালাস দেয় আদালত। নিম্ন আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে রায়ের পর তিনি যাবজ্জীবন ও খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খালাস ও দ-প্রাপ্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে এমপির পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই মামলায় অন্যতম মৃত্যুদ- পাওয়া আসামি আলমগীর সিদ্দিকী বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। গত ২৩ মে আলমগীরের স্ত্রী বাগেরহাটের পারিবারিক আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলার মাধ্যমে তিনি যশোর থেকে বাগেরহাট কারাগারে আসেন। মামলার আসামি আলমগীর সিদ্দিকী আদালতে হাজিরা দিতে এসে বড়াল হত্যা মামলার খালাস ও দ-প্রাপ্ত আসামিদের সাথে শলাপরামর্শ করে তার পরিবারকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পরপর দুবার তার মেয়ে অদিতি বড়ালের উপর এই হামলা হয়েছে বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন।