হুসাইন মাহমুদ
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে মুহাম্মাদ সা.এর উম্মত বানিয়েছেন এটা আল্লাহ তায়ালার একটা বিশেষ নেয়ামত, এবং রাসূল সা. কে আমাদের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছেন, শুধু রহমত নয় বরং আদর্শও, কিশের আদর্শ? এতিমের আদর্শ, পিতার আদর্শ, সেনাপতির আদর্শ, রাষ্ট্র নায়কের আদর্শ, ইমামের আদর্শ ইত্যাদি। সুতরাং আমরা রাসূল সা.এর সুন্নাত পরিপূর্নভাবে যদি আদায় করতে পারি, তাহলে আমরা খাটি মুসলামান হতে পারবো। রাসূল সা. যখন মে ‘রাজে গমন করেন । সেখানে তিনি জান্নাতের নেয়ামত এবং জাহান্নামের শাস্তি দেখেছেন। জাহান্নামের মধ্যে যে সমস্ত শাস্তি দেখেছেন তা সুদ, গীবত জ্বীনা, এগুলার কারনে। এই তিনটার মধ্যে গীবত হলো সব চেয়ে বড় গুনাহ। কেননা গীবতের কারনে পরিবারে, সমাজে, রাষ্টে, প্রত্যেকটা স্তরে ঝগরা সৃষ্টি হয়। গীবত এটা আরবী শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, কুৎসা রটাটো, দোষ বঢিন করা, পর নিন্দা করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে গীবত বলা হয়, কারো অনুপস্হিতে তার এমন কোন দোষ অন্যের কাছে বর্ণনা করা, যা শুনলে সে মনে কষ্ট পায়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেছেন, মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (সুরা হুজরাত-১২) অন্যত্র ইরশাদ করছেন ‘আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। (সুরা নিসা-১৪৮) যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে ফিরে। যে ভাল কাজে বাধা দেয়, সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ, কঠোর স্বভাব, তদুপরি কুখ্যাত, এ কারণে যে, সে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততির অধিকারী। (সুরা লুকমান-১০-১৪)
গীবত দূর করার উপায়। গীবত করার পরিবর্তে মানুষের প্রশাংসা করা। নিজেকে সর্বদা নগন্য মনে করা। কারো গীবত করার পূর্বে নিজের দোষ ত্রুটির কথা স্বরন করা। কারো গীবত করে ফেল্লে তাঁকে ও বিষয় জানিয়ো দেয়া তবে বিপরীত হয়ার সম্ভনা থাকলে জানানোর প্রয়োন নেই। গীবত হচ্ছে, এমন কোনো মজলিসে না বসা। কোনো মজলিসে গীবত শুরু হলে সামর্থ্য অনুযায়ী বন্ধ করার চেষ্টা করা। যদি বন্ধ না হয়, তাহলে মজলিস থেকে উঠে আসা। এর পরও যদি গীবতের অভ্যাস দূর না হয়, তাহলে হক্কানী কোনো আলেম বা উস্তাদের কাছে থেকে পরামর্শ নেয়া এবং সে অনুযায়ী আমাল কর। লেখক: প্রাবন্ধিক