১. আজ এলো সে বড়দিন
আজ এলো সে বড়দিন
প্রাণে আজ বাজে বীণ
রঙীন স্বপ্ন উঠে জাগিয়া
ছন্দে ছন্দে উঠে মাতিয়া।।
রাখালেরা মাঠে বসে ছিল
দূতেরা তাদের দেখা দিল
তারা সবে গেল ছুটিয়া
ছন্দে ছন্দে উঠে মাতিয়া।।
উঠেছিল এক সে নবতারা
পন্ডিতেরা হলো আতœহারা।
স্বর্গ হতে এলো নামিয়া
ছন্দে ছন্দে উঠে মাতিয়া।।
সাজো সবে সাজো নব সাজে
পূজিতে আজিকে নব রাজে।
জ¤েœছেন মোদের লাগিয়া
ছন্দে ছন্দে উঠে মাতিয়া।।
২. আজ শুভ বড়দিন ভাই, আজ শুভ বড়দিন,
সুনীলকুমার সরকার
আজ শুভ বড়দিন ভাই, আজ শুভ বড়দিন,
খ্রিস্ট যীশু এলেন ভবে, ছেড়ে স্বর্গের সিংহাসন।
১। চেয়ে দেখ বেৎলেহমে, গোয়াল ঘরে, মেরীর কোলে,
যাবপাত্রে আছেন শুয়ে, পাপীদের মুক্তির কারণ।
২। স্বর্গদূত নেচে নেচে, সংবাদ দিল রাখালগণে,
তারা দেখে প-িতগণে, আসে করিতে দর্শন।
৩। পাপের সকল দ- নিতে, এলেন যীশু অবনীতে,
যীশুর রক্তে ধৌত হয়ে, কর তাঁহার নাম কীর্তন।
৪। ধন্য যীশু বল সবে, মহোল্লাসে উচ্চরবে,
হাল্লেলূয়া স্তবে সবে পূর্ণ কর ত্রিভুবন।
৩. শৃঙ্খল বন্ধন চূর্ণিতে,
শৃঙ্খল বন্ধন চূর্ণিতে,
যীশু এলরে আজ গোশালে।
১। পাপ তাপ ভার, গহন আঁধার,
বিনাশিতে সমূলে।
২। গাহে দূতগণ, মধুসম গান,
ভূতলে নভোনীলে।
৩। তুলি জয়রব, কর তাঁহার স্তব,
ত্রিভূবনে সকলে।
৪. দায়ূদ নগর ঐ যে দেখা যায়
প্রিয়নাথ বৈরাগী।
দায়ূদ নগর ঐ যে দেখা যায়
মোরা এসেছি নিকটে তার, বেশী দূর নাহি আর,
যাবি যদি চলে আয়।
১। দূতের মুখে পেলাম সংবাদ, এবার
পূর্ণ হবে অন্তরের সাধ গো, ভাইরে হলেন জগৎপিতা অনুকূল, ভবজলে পাবে কূল
পাতকীকুল নিরুপায়।
২। মেষপাল নিয়ে ছিলাম জেগে মোরা
অন্ধকারময় নিশিযোগে গো, ভাইরে
ঘটল কি ঘটনা অকস্মাৎ, করে দেখি দৃষ্টিপাত
আলোকে সব আলোকময়।
৩। স্বর্গের পুরুষ বিদ্যুৎবরণ, কিবা অনিন্দরূপ,
চন্দ্রবদন গো, ভাইরে
হয়ে ভয়ে প্রায় অচেতন, শুনেছিলাম তাঁর বচন
শুনিলে তা প্রাণ জুড়ায়।
৪। ‘ভয় নাই, ভয় নাই শোন কথা,
ভবে জন্মেছেন আজ জগৎত্রাতা গো, ভাইরে
করে যীশু-মশীহ্ নাম ধারণ, তরাবেন পাপীজন,
রবে না আর শমনভয়।’
৫। শুনতে পেলাম বীণার ধ্বনি,
তাতে বেজে উঠল কি রাগিণী গো, ভাইরে
‘এলেন শান্তিরাজ এ সংসারে আনন্দ-নগরে,
জয় হউক! জয় হউক! পিতার জয়।’