পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা
মোবায়েদুর রহমান
পৃথিবীতে বিশেষ করে মুসলিম জাহানে ভয়াবহ রক্তপাতের পদ ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে পৃথিবীর শরীর পৃষ্ঠে ইসরাইল নামক বিষ ফোঁড়ার সৃষ্টির ৬৯ বছর পর আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটল। আর সেটি হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প নামক এক নন পলিটিক্যাল উন্মাদ ও বিকারগ্রস্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক সমগ্র জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা। অবশ্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং ওআইসিকে স্যালুট। এরদোগানের উদ্যোগে তড়িৎ গতিতে ৫৭ টি মুসলিম দেশের সম্মেলনে আমেরিকার পাল্টা জবাব হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তুরস্ক, ফিলিস্তিন, ইরান, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশের ইচ্ছা ছিল, আমেরিকার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ। মালয়েশিয়া এবং ইরানের সৈন্য বাহিনী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ছিল প্রস্তুত। সে ক্ষেত্রে তুরস্কও পিছিয়ে থাকতো না। কিন্তু মুসলমানদের চরম লজ্জার বিষয় এই যে সৌদি আরব, মিশর এবং আরব আমিরাতের অনিচ্ছার জন্য সেটি সম্ভব হয়নি। আজও তারা মার্কিন পদলেহনের জন্য ইচ্ছুক।
তবে মনে হচ্ছে, জেরুজালেম ইস্যুতে আমেরিকা এবং মুসলিম জাহান মুখো মুখি এসে দাঁড়িয়েছে এবং পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে যাচ্ছে। তুরস্ক, ইরান এবং পাকিস্তান যদি এক থাকতে পারে তাহলে এবার ইসরাইল এত সহজে পার পাবে না। আবার জেরুজালেম প্রশ্নে মুসলিম জাহানও কোনো ছাড় দিতে পারে না। আমি তাই সামনে দেখতে পাচ্ছি একটি ভয়াবহ সশস্ত্র সংঘর্ষ। মুসলমানদের বিপ্লবী সংস্থা ‘হামাস’ ইতোমধ্যেই ‘ইন্তিফাদার’ ডাক দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মুসলমান সেই ডাকে স্বতস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছে। আসুন, আমরা বাংলাদেশ থেকেও আওয়াজ তুলি –
‘দিকে দিকে পুন জ্বালিয়া উঠিছে
দ্বীন ইসলামী লাল মশাল
ওরে বেখবর তুইও ওঠ জেগে
তুইও তোর প্রাণ প্রদীপ জ্বাল’
পরিচিতি : সহযোগী সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব/ ফেসবুক থেকে