জাহিদ হাসান/আনিস রহমান : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসতে চাইলে আসবে এবং না আসতে চাইলে আসবে না। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগ কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিয়ষক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
গতকাল রোববার বেসরকারি টেলিভিশনের একাত্তর সংযোগে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে (দশম জাতীয়) বিএনপিকে আনতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ফোন দিয়েছিলেন। যে ফোনের কথোপকথন আপনারা শুনেছেন। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসেনি। এরপর খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো যখন মারা গেলেন তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ি গেলেন কিন্তু সেখানেও আমার মাকে (শেখ হাসিনা) অপমান করা হলো। তাহলে আমরা বিএনপিকে কীভাবে নির্বাচনে আনব। তিনি আরও বলেন একজন চালাক ব্যক্তি একই ভুল বার বার করে না। বরং একজন বোকা ব্যক্তি একই ভুল বার বার করে। তিনি বলেন, এক হাতে কখনও তালি বাজে না। একা একা কখনও আলোচনা হয় না।
রংপুরের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে জয় বলেন, রংপুরের নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন বিবেচনা করলে হবে না। কারণ নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকতেই পারে। তবে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কমেনি। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কী কারণে আমাদের পরাজয় হলো তার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ সময় তিনি বিএনপির সাথে তুলনা করে বলেন, রংপুর নির্বাচনে বিএনপির চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে। এ থেকেই বোঝা যায়, বিএনপির জনসমর্থন কতটুকু? তাদের কোনো জনসমর্থনই নেই। তিনি আরও বলেন, যে দল সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা না করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষকে পেট্রোল বোমা, ককটেল মেরে পুড়িয়ে মারা। তারা আবার কীভাবে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে।
আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন এমন প্রশ্নে জয় বলেন, আওয়ামী লীগ হলো একটি গণতান্ত্রিক দল। আমাদের প্রতি তিন বছর পর একটি কাউন্সিল হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরাই নির্বাচন করে বেছে নেয় তাদের নেতৃত্ব কে দেবে। এতদিন তারা আমার মা শেখ হাসিনাকেই রেখেছে। ভবিষ্যতে তারা কাকে চাইবে এটা তাদের উপরই নির্ভর করবে।
রাজনীতিতে কবে আসবেন এমন প্রশ্নে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, রাজনীতিতে কবে আসব সেই সিদ্ধান্ত এখনও আমি নেইনি। কারণ আমাদের পরিবারের কখনও কারোরই ক্ষমতা, টাকা-পয়সার লোভ হয়নি। আমরা দেশ ও দলের জন্যই কাজ করতে ভালবাসি। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত