মুরাদ হাসান : রংপুরে মহানবীকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার ঘটনায় হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলার আসামি প্রকৌশলী ফজলার রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস আহমেদ ও গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলী।
আসামিপক্ষে জামিনের আবেদনও করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আরিফুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে আগামী ২৭ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। কোর্ট সিএসআই বাবর আলী আসামির জামিন নামঞ্জুর এবং রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফজলারকে আদালতে আনার পর হাজতখানায় রাখা হয়। ফজলার রংপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী। তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার কল্পনা স্থানীয় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং তিনি সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
ঠাকুরপাড়ায় তা-বের ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর রাতে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের এসআই রেজাউল ইসলাম ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তে সহিংসতার ঘটনায় উস্কানিদাতা হিসেবে নাম আসার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান প্রকৌশলী ফজলার রহমান। রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে ফজলারকে গ্রেফতার করার বিষয়টি জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস আহমেদ জানান, রংপুর পুলিশের একটি দল ঢাকায় গিয়ে সেখানকার গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় শ্যামলী এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সূত্র : জাগো নিউজ