আজ থেকে চল্লিশ বছর পরে দেশ মুখথুবড়ে পড়বে
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান
এটি ঠিক যে, আমাদের দেশে দুর্নীতির কারণে ব্যক্তিগত উদ্যোক্তা বাড়ছে না। বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীণ হয়ে তারা বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তবে একটি বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে উচ্চ শিক্ষাটি সার্বজনীন হয়ে গেছে। পৃথিবীর সবখানেই উচ্চ শিক্ষাটি শুধু সীমিত মানুষের জন্য। আমরা বহির্বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাব, উচ্চ শিক্ষাটি শুধু তাদের জন্য, যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে গবেষণার কাজ করবেন। যারা ভবিষ্যতে শিক্ষকতার কাজে নিয়োজিত হবেন। তাদের জন্য উচ্চ শিক্ষা। কিন্তু আমাদের দেশে চাকরির বাজার না থাকার কারণে, বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ শিক্ষায় দাবিত হচ্ছে। যার জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী আমাদের শ্রমবাজার নেই। তাই বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে এখন সামান্য অফিস পিয়নের চাকরির জন্য অনার্স, মাস্টার্স পাস ছেলে মেয়েরা দরখাস্ত করছে। এটি খুবই দুঃখজনক এবং সীমাহীন লজ্জাকর একটি অবস্থা। তাই দেশে যদি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা না হয়, আমাদের যে তারুণ্যের শক্তি আছে, আমাদের যে তরুণ প্রজন্ম আছে, তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে, আজ থেকে চল্লিশ বছর পরে দেশ মুখ থুবরে পড়বে। তাছাড়া বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার জন্য আমাদের যে প্রচেষ্টা, তা ব্যাহত হবে। তাই তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগানোর জন্য, যত দ্রুত সম্ভব দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বেসরকারি উদ্যোগতাদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে। তাহলে একসময় দেশ থেকে বেকারত্ব দূর হবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হবে।
পরিচিতি : সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ