আমরা নিজের অজান্তে একটি অন্যায় করেছি
রিজওয়ানা হাসান : ঢাকা শহরে আমরা যে জারের পানি খাচ্ছি, এটি কতটুকু সাস্থ্যসম্মত? আমি সঠিকভাবে জানি না। তবে এটি পরিবেশ সম্মত নয়। কারণ হচ্ছে, বেশির ভাগ জারের পানিই ভূ-গর্ভস্থ। জারের পানিটি খুব সহজলভ্য হওয়ার কারণে, ভূ-উপরস্থ পানির সাথে আমাদের একটি দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। আমরা নিজের অজান্তে একটি অন্যায় করছি। সেটা হচ্ছে, আমরা এখন আর ভূ-উপরস্থ পানিকে দূষণমুক্ত রাখার কোনো চেষ্টাই করি না। জারের পানিতে আমরা একটি স্বস্থি পেয়ে গেছি। যেজন্য আমাদের ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ পড়ছে। কারণ, বেশিরভাগে জারের পানির কোম্পানিগুলো নিচ থেকে পানি তুলে। যার জন্য বিভিন্ন বড় বড় শহরে ভূ-গর্ভস্থ পানির লেভেল নিচে নেমে যাচ্ছে। যা আমাদের জন্য কোনোভাবেই পরিবেশ সম্মত নয়। আর যদি ক্রেতার দিক থেকে আমি নিজের কথা বলি, আমরা যত সহজে জারের পানি কিনে ফেলছি, তত সহজে নিম্মবিত্ত যারা আছে, তারা কিনতে পারছে না। তাদের নির্ভর করতে হয় ভূ-উপরস্থ পানির উপর। কিন্তু আমাদের শহরে এই পানি দুষিত পানি। এটি তাদের জন্য কোনোভাবে সাস্থ্যসম্মত হতে পারে না। জারের পানি যদি ভূ-গর্ভস্থ হয়ে থাকে, তাহলে এটিতে আর্সেনিক ছাড়া আর কোনো দুষণ নেই। যদি কেউ এই ভূ-গর্ভস্থ জারের পানি খায়, তাহলে বলা যাবে না সাস্থ্যসম্মত নয়। কিন্তু যদি ভূ-উপরস্থ জারের পানি হয়, তাহলে হয়তো ভালোভাবে ফিল্টার না করা হলে সমস্যা থাকতে পারে। তবে আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের ভূ-উপরস্থ পানি শোধন করে তা খাওয়া উচিত। এতে আমাদের পরিবেশও দুষণমুক্ত থাকবে।
পরিচিতি : পরিবেশ বিশেষজ্ঞ/মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ