গোয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
ডা. তাজুল ইসলাম
ও ঃৎধাবষ ষবরংঁৎবষু ধহফ ঢ়ষবধংঁৎধনষু -আমি ভ্রমণ করি ধীরে-সুস্থে, প্রতিটি ক্ষণ উপভোগ করে।
১। গোয়া জন-পথ, জন-জীবনের খ- চিত্র দেখতে অলিগলি হেটে হেটে।
২। মিসরে নাইল ক্রুজে ‘ক্লিওপেট্রার নাচ দেখে টাচকি খেয়েছিলাম। এবার গোয়া ক্রুজে ঐশ্বরিয়া, ক্যাটরিনা নাচেনি, এরা কইয়ের তেলে কই ভেজেছে- দর্শক যাত্রীদেরই নাচে নামিয়ে তাদের আনন্দ দিয়েছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশ টিমও। গবশযধষধ ঝধৎশধৎ, ঘধংরস ঔধযধহ, তরষষঁৎ কধসধষ দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে নাচ-মাস্তিতে (যদিও ক্যামেরায় ধরা যায়নি)।
৩। রাতের সী-বীচ : অন্ধকারে কি দেখব তবে শুনেছি সমুদ্রের গর্জন (গর্জনের তো ছবি তোলা যায় না, তাই ছবি নেই)
গোয়া ভ্রমন- ২য় দিন
১। সারা ভারত শাসন করেছে ইংরেজরা। গোয়া ছিল শুধু পর্তুগিজদের শাসনে- ইংরেজিদের শত বর্ষ আগে (মুসলিম শাসক রাজা আদিলকে পরাস্ত করে) এবং ইংরেজদের পর ও ১৯৬১ সন পর্যন্ত। এই সুদীর্ঘ সময় তারা গোয়ার সুরক্ষার জন্য তৈরি করেছে বিশাল এক সামরিক দুর্গ।
২। গোয়ার রাজধানী পানজিম সিটিতে (পুরাতন গোয়ায় কলেরার মহামারীতে অনেক লোক মারা যাওয়াতে ও তাদের বিশ্বাস সব বিল্ডিং এর ভিতর কলেরার জীবাণু ঢুকে রয়েছে। তাই সব বিল্ডিং পর্তুগিজ সরকার ভেঙে পাশের মান্দিব নদীতে তলিয়ে দিয়ে নতুন করে পানজিম সিটি তৈরি করে)। রাজধানী ও তার শপিং দোকানের হাল আমাদের অলিগলি দোকানের চেয়ে ও নিম্নমানের- কিছু কেনাকাটা করার কথা নয়, তবু টোকেন হিসেবে যৎসামান্য কিনেছি।
৩। সায়েন্টিফিক কনফারেন্স- এটি ছিল খুবই জমজমাট আসর। হাইলি ইন্টার- একটিভ (সবশেষে ভারতীয় সান ফার্মার লোকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের সান ফার্মার বিশেষ বিশেষ সাইকিয়াট্রিস্ট পোষণ-তোষণ এর অনৈতিক চর্চার কথা কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলাম। আমি সব সময় যেভাবে প্রকাশ্যে তুনোধনি করে থাকি সেভাবেই। তেলানি আর ভিক্ষা চাওয়ার কড়া সমালোচনা করলাম (ভিক্ষুকরা লা- জবাব রইল)
পরিচিতি : চিকিৎসক ও কলামিস্ট/ফেসবুক থেকে