৬ নারী ধর্ষণে ছাত্রলীগ নেতা আরিফের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
মাহফুজ উদ্দিন খান : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদার ৬ নারীকে ধর্ষণ ও অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর গতকাল বুধবার সকালে তাকে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণপুর এলাকার নির্যাতিতা নারী আ.বারেক রাঢ়ির স্ত্রী সুফিয়া ওরফে আছিয়া খাতুন বাদি হয়ে ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আরিফ হাওলাদারের বিরুদ্ধে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার দেড়মাস পরে অবশেষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ভেদরগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত আরিফ হোসেন হাওলাদারকে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের সাইক্কা ব্রিজের নিকট জয়ন্তিকা নদী থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃত আরিফ হোসেন হাওলাদারকে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত আরিফ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাদিুল ইসলামের নিকট সামাজিক যোগাযোগের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আসামি আরিফ হোসেন হাওলাদার আদালতের বিচারকের নিকট ৬ নারীর অশ্লীল ভিডিও ছড়ানো ও গোপন ক্যামেরায় অশ্লীল ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর ও যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান যৌথ স্বাক্ষরে এক বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদারকে গত ১১ নভেম্বর দলীয় সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। সূত্র : পরিবর্তন