জিজ্ঞাসার জবাব
প্রশ্ন : ব্যাংকে সঞ্চয়কৃত অর্থের উপর যাকাত আসবে কী ?
উত্তর : ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট করা হোক অথবা ফিক্স ডিপোজিট, উভয় অবস্থাতেই সঞ্চিত অর্থে জাকাত ওয়াজীব হবে। জাকাত ওয়াজীব হওয়ার জন্য মাকিলকানা ও আয়ত্ব থাকা আবশ্যক। আর ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থে সঞ্চয়কারীর মালিকানা নিশ্চিতভাবে রয়েছে। বাহ্যিকভাবে যদিও তার কর্তৃত্ব নেই ; কিন্তু যেহেতু সঞ্চয়কারী ইচ্ছাকৃতভাবে সঞ্চয় করেছে তাই কর্তৃত্বের ব্যাপারে ব্যাংক মূল মালিকেরই প্রতিনিধি। এভাবে ব্যাংকের মধ্যস্থতায় সঞ্চয়কারীর কর্তৃত্বও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য ইসলামী আইনবিদগণ আমানতের ভিত্তিতে রক্ষিত সম্পদে যাকাত ওয়াজীব সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং জমাকৃত এমন সব অর্থে যাকাত ওয়াজীব হবে যা মালিক স্বেচ্ছায় জমা করেছে।
প্রশ্ন : মসজিদ ,পুল ইত্যাদি নির্মাণে জাকাতের টাকা ব্যয় করা যাবে কী ?
উত্তর : জাকাত ব্যয়ের বিশেষ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, কুরআন মাজীদে সুস্পষ্টভাবে সেগুলোর উল্লেখ রয়েছে। সুরা তাওবা -৬০ ) যাকে জাকাত দেয়া হবে তার মধ্যে অবশ্যই মালিক হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। আর মসজিদ, পুল ইত্যাদি নির্মাণে জাকাতের অর্থ ব্যয় হলে এ অর্থ শুধু খরচই হয়, কোন বিশেষ ব্যক্তি তার মালিক হয় না। তবে এসকল কাজে জাকাতের অর্থ ব্যতিরেকে অন্য কোন অনুদান থেকে করা যাবে। জাকাতের অর্থ এসকল কাজে ব্যয় করা যাবে না। মসজিদ, পুল, সরাইখানা নির্মাণ, রাস্তা মেরামত, খাল খনন, হজ্জ এ জাতীয় কাজে জাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না। যেগুলোতে মালিক হওয়ার যোগ্যতা পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন : যে সম্পদে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়নি তার উপর জাকাত আসবে কী ?
উত্তর : যে ব্যক্তি পণ্য ক্রয় করেছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে তা হস্তগত করেনি । এসব ক্ষেত্রে সাধারণত দূর-দূরান্তের শহরের সাথে বাণিজ্য করলে ক্রেতার আয়ত্বে থাকে না ক্রয়কৃত পণ্য। এধরণের বাণিজ্যিক মালের ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত জাকাত ওয়াজীব হবে না।