সৎ রাজনীতির উৎসাহ দেয় ইসলাম
জামিল আহমাদ
রাজনীতির বাংলা অর্থ হচ্ছে রাজ্য শাসন ও রাজ্য পরিচালনার নিতী। রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও রাজনীতি সম্পর্কে ইসলাম যে বুনিয়াদি শিক্ষা দান করেছে, তা হলো এই বিশ্ব জাহানের মহান সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা আল্লাহ তা’আলাই এর প্রকৃত মালিক। সমগ্র মানব জাতি তাঁর বান্দা ও দাস। তিনি ছাড়া প্রকৃত কোনো মালিক নেই,তাইতো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: ‘আসমান ও জমিনের রাজত্ব কেবল আল্লাহ তা’আলারই’।
যেহেতু অধিকাংশ রাজনীতিকরা নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে রাজনীতির আড়ালে অসৎ পথ অবলম্বন করে থাকে, সেহেতু জনসাধারণ খোদ রাজনীতিকেই নোংরা ভাবতে শুরু করেছে। ইসলামের এমন বহু বিধান রয়েছে যেগুলো ইসলামী রাজনীতি তথা ইসলামী হুকুমত ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। যেমন: যিনার বিধান, হত্যার বিধান,মদ্যপান ও চুরির বিধান ইত্যাদি। রাসুল (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) সকল বিধানাবলী ইসলামী রাজনীতি তথা ইসলামী হুকুমত বাস্তবায়নের পরই কায়েম করেছেন। আজ কিছু মুসলমান নামধারীরা বলে: ধর্মের নামে কোন রাজনীতি নেই, অথচ রাজনীতি ইসলাম বিবর্জিত কোন বিষয় নয়। যারা বলে রাজনীতি ইসলাম বিবর্জিত বিষয় তারা কাফের-মুশরিকদের চেয়েও ইসলামের জন্য অধিক ক্ষতিকর। তাই তাদেরকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে হয়: এ দেশে যদি ইসলাম পন্থিরা রাজনীতি না করেন তাহলে ইসলামি বিধি-বিধান কি নাস্তিকেরা বাস্তবায়ন করবে?
এ রাষ্ট্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এ দেশে রাজনীতি করার সর্বাধিক অধিকার রয়েছে একমাত্র মুসলমানদের, আর মুসলমানরা ইসলামী রাজনীতি ছাড়া রাজনীতি করতে পারেনা। প্রগতির বিপুল উৎকর্ষের এই একুশ শতকে কোনো দারিদ্রপীড়িত দেশ যখন ইসলামী অনুশাসন পূর্ণ মেনে নিরাপত্তার নি:শ্বাস ত্যাগ করে, উদ্বৃত বাজেট পেশ করতে পারে, তখন খোঁড়া অজুহাত দাঁড় করিয়ে সামরিক অভিযান চালিয়ে দেশটিকে ধ্বংস করা ছাড়া প্রগতিশীলদের কোনো উপায় থাকেনা। ইসলাম ক্ষমতাকে একটি নৈতিক পরিকাঠামোর মধ্যে স্থাপন করেছে। উপরোক্ত আলোচনা হতে সুস্পষ্টভাবে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, রাজনীতি হচ্ছে ইসলামের নির্দেশনা এবং একে অস্বিকার করার কোনো উপায় নেই। তাই দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি কামনায় আমাদেরকে ইসলামী অনুশাসন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করে সুষ্ঠ ও স্থিতিশীল সমাজ কায়েম করতে হবে। তাহলেই আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে উভয় জাহানে সফলতা দান করবেন।