আলেম সমাজের প্রতি অস্থা রাখা চাই ওমর ফারুক খন্দকার
সারা বিশ্ব আজ অশান্তির দাবানলে জ্বলছে। সততা ন্যায় পরায়নতা ও ধার্মিকতার কোন মূল্য নেই। পৃথিবীর সকল কুফরী, তাগুতি অপশক্তি এবং অনেক মুসলিম পিতার সন্তান-বুদ্ধিজীবী নামের নাস্তিকরা হক্কানী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করছে। মৌলবাদী, ধর্মান্ধ ও ফতোয়াবাজ বলে গালিগালাজ করছে। এরা শুধু ওলামায়ে কেরামের বিরোধিতা করছে তাই নয়, বরং এদের মূল লক্ষ হচ্ছে পৃথিবী থেকে পবিত্র ইসলাম ও মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করা। তারা নিজেদের প্রগতিবাদী ও উন্নতিকামী হিসেবে দাবী করে। তবে তাদের স্মরণ রাখতে হবে। যতদিন হক্কানী রব্বানী ওলামায়ে কেরাম থাকবেন এবং আল্লাহর জিকির করার মত খাঁটি গোলাম থাকবেন। ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী টিকে থাকবে। এসব ভোগবাদীদের ভোগ বিলাসিতা ও আমোদ প্রমোদ ঠিক থাকবে। যে দিন দুনিয়া থেকে হক্কানী ওলামায়ে কেরামগণ বিদায় নিবেন সে দিন এ দুনিয়া থাকবে না। ভোগ বিলাসিতাও বিদায় নিবে। বিদেশী প্রভুদের অনুস্বরণ এদশে ইহুদী খ্রিষ্টানদের কৃষ্টি কালচার চালু করে জাতিকে বেহায়া ও বেলেল্লাপনার সাগরে মারার ষড়যন্ত্র করছে। সারা বিশ্বে যেন ইউরোপের মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে ৮০% সন্তান জানেনা তার আসল পিতা কে। যেমন জর্জ ডাব্লিউ বুশ তার ভাষণে বলেছিল। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত নিস্তেজ হবো না। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যেক মুসলমান নিরস্ত্র, দাড়িবিহীন, ধর্মহীন, শান্তি প্রিয় ও মার্কিন প্রেমিক না হবে এবং মুসলিম নারীরা তাদের শরীর কিংবা হিজাব আবৃত করা ছেড়ে না দেবে। (বিশ্বায়ন ১০৯)
বর্তমান দেশের গরীব জনগণকে সমান্য ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ভিটে মাটি ছাড়া করা, মাহিলাদের প্রকাশ্যে কাপড় খুলে নেওয়া, চুল কেটে দেওয়া, ইজ্জতের ভয়ে আত্মহননের দিকে ঠেলে দেওয়া, ঘরের টিন খুলে নেওয়া, গরীবের জন্য আসা বিদেশী সাহায্যের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখন করা কোন ধর্মান্ধ মৌলবাদী করেছে বলে প্রমাণ দিতে পারবে না। বরং দেশ বিভাগের পর যেমন আদর্শহীন অসাম্প্রদায়ীক রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠি ক্ষমতায় এসেছে। সে সব দলের নেতা কর্মীরাই এর সাথে জড়িত। ঢাকা মসজিদের শহর বহু বছর ধরে আলেম ওলামা ঢাকায় অবস্থান করছেন। কিন্তু তাদের কেউই উপরোক্ত অমানবিক কার্যকলাপে জড়িত আছে বলে কোন প্রমাণ নেই। পক্ষান্তরে অসম্প্রদায়িক রাজনৈতিক নেতাকর্মী আমলা ও বুদ্ধি জীবিরা দুধের ধোয়া না কি? এসব কোন কিছুর সাথে যখন ওলামায়ে কেরাম জড়িত নয় তারপরও তাদেরকে গালি দেয়া হয় কেন? আসলে কথিত প্রগতিবাদীদের কথা হল: ইসলামকে জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার কথা যারাই বলবে এ সকল নারী বাদীদের বিরুদ্ধে বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলবে এবং তাদের নোংরা সভ্যতার প্রতি ঘৃণার থুথু নিক্ষেপ করবে তারাই মৌলবাদী ও ধর্মান্ধ। হ্যা যদি এমনি হয়, তাহলে আমরা সত্যিকার মৌলবাদী এবং উচ্চস্বরে এই শ্লোগান বলতে চাই।