এমপিওভুক্তি করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা নিয়ে বাড়ি ফিরব
আবদুস সালাম : দীর্ঘ ১৮ থেকে ২০ বছর আমাদের প্রতিষ্ঠান একাডেমিক স্বীকৃতি পেয়েছে অথচ আমরা বেতন পাই না। নন এমপিও প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে আমরা সবাই মিলেই দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয় কিন্তু শুধু আশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরে যাই বেতন পাই না। পরবর্তীতে দেখা যায়, কতৃপক্ষের আশ্বাস অনুযায়ী কোনো কাজ হয় না। আমাদের একটাই দাবী, যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করণ করা হবে, সরকার আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেবেন । এই ঘোষণা নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরবো। তাছাড়া লাগাতার এই অনশন ধর্মঘট চলতেই থাকবে। আজ নিয়ে ছয়দিন হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের দাবী, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার এটা। এটা আমাদের ন্যায্য পাওনা। এর আগে অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রীকে আমরা অবহিত করেছি। কোনো কাজ হয় নি। আমরা এখন চাচ্ছি, যেহেতু তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি, তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থে যেহেতু পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হচ্ছে, আমরা আশাবাদি উনি যদি আমাদের একটু দেখবেন।
পরিচিতি: দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেন্ট, নওগাঁ
খন্দকার হাবিবা :
আমাদের একটাই দাবী, আমাদেরকে যেন এমপিও ভুক্তি করণ করা হয়। আমরা বলতে চাই, আমাদেরকে এই অভুক্ত জীবন থেকে মুক্তি দিন। আমরা যেন নিজের সম্মানটুকু নিয়ে এই সমাজে বসবাস করতে পারি। আমরা সন্তান-স্বামী ও পরিবারের কাছে হেয় হয়ে বসবাস করছি। আমাদের সংসার থেকে যখন বের হতে হয় তখন মনে হয় যেন অপরাধ করছি। কারণ, আমরা কোনো ইনকাম করে এই সংসারে আনতে পারছি না। আমাদেরও স্বপ্ন ছিল। এতদিন ধরে আমরা শুধু স্বপ্ন দেখেছি। বাজেট বরাদ্দ হবে, এটাই ভেবে এসেছি। সেই বাজেট বরাদ্দ তো হয়ই নাই। উল্টো হয়রানি হয়েছে। আমরা এবার রাজপথে বসেছি। সকল কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবো না।
পরিচিতি: প্রভাষক, আলহাজ সামসুর রহমান আইডিয়েল কলেজ, সোনাডাঙা, খুলনা
মোহাম্মদ আলাউদ্দিন
নন এমপিও শিক্ষক আমরা । নন এমপিও মানে যাদেরকে মান্থলি পেমেন্ট দেওয়া হয় না। বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন ছিল। সরকার আশ্বাস দিয়েছে এর আগেও। কিন্তু আমাদের দাবী পুরণ করা হয় নি। শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা সরকারী মহল থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি পাই, আশ্বাস পাই। এই আশ্বাস নিয়ে আমরা চলে যাই কিন্তু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় না। আমরা এর আগে যেহেতু শুধু আশ্বাস পেয়েছি কিন্তু ফলাফল পাই নি। তাই আমাদের এবারের দাবী শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে । আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি যেন আমাদের দিক বিবেচনা করেন। আর অতি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান ঘটান। আমাদেরকে নায্য পাওনা বুঝিয়ে দিন। যেন স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারি। আমাদের পরিবারও আমাদের সাথে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে। পিতামাতার সেবা যতœ করতে পারি না। এখনো বাপের হোটেলে খাই। খুবই লজ্জাজনক কথা। আমরা মানুষের কাছে পরিচয় দিতে পারি না যে, আমরা একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। অনেকে আমাদেরকে ধিক্কার দেয় যে, চাকরি করেন অথচ টাকা পান না। এ কেমন চাকরি? সরকার আপনাদেরকে বেতন দেয় না, এটা কোন ধরনের চাকরি?
পরিচিতি: মান্দা মহানগর হাই স্কুল, নওগাঁ
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ