আইনি কাঠামোতে আনতে হবে দালালদের : রামরু
এনামুল হক: বিদেশে শ্রমিক রপ্তানীর শতকরা ৯০ ভাগ দালাল নির্ভর। দালালের হাত ধরেই বিদেশ যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অধিকাংশ অভিবাসী। এর পেছনের কারণ হিসেবে দেখা গেছে স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তিদের ওপর অভিবাসী পরিবারের আস্থা। যারা কিনা রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল বলে পরিচিত। টিভিএনএ’কে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা জানান, রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউটিট (রামুরু) চেয়ারপার্সন ড. তাসনিম সিদ্দিকী। তার মতে দালালদের নিয়মিত প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা সময়ে দাবি। দালালরা আসলে সরকার, রিক্রুটিং এজেন্সি এবং অভিবাসীদের মাঝে সেতু হিসেবে কাজ করছেন।
ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, অভিবাসীদের মধ্যে ৯০ ভাগ তাদের অভিবাসনের খরচের টাকা দিচ্ছে দালালের হাতে। ৭৭ ভাগ অভিবাসী ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করেছেন দালালের মাধ্যমে। ৮১ ভাগ শ্রমিক রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে গেছেন দালালের হাত ধরে। ৭০ ভাগ মেডিকেল টেস্ট এর সেবা নিয়েছেন দালালের মাধ্যমে। এতে দেখা গেছে দালালরাই সেই অপরিহার্য সেতু যা কাজ না করলে অভিবাসীর সাথে রিক্রটিং এজেন্সি এবং সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হতো না। কিন্ত দালালরা আইনী কাঠামোতে না থাকায় অন্যায় করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। এই দায়হীন দালালদের কাজ গুলোকে নিয়মিত কাজের আওতায় আনার সময় এসেছে।
ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, প্রতারিত অভিবাসীদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে রামুরু’র কারিগরি সহায়তায় বিএমইটি অনলাই ও সরেজমিন এ দু’ভাবে অভিযোগ গ্রহণ করছে। এ পর্যন্ত ৬৪৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৪৩১টিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ২১০টির শুনানী হয়েছে এবং ১টির তদন্ত চলমান এবং ৩টি অভিযোগ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। অভিবাসন খাতে যে অনিয়মত এবং প্রতারণা হয় তার খুব কম অংশই সালিশের জন্য আসে। চলতি বছর অনলাইনে ৩৫টি অভিযোগ আসে। এর মধ্যে ১৭টি অভিযোগ আসে সৌদি আরব থেকে। বাহরাই থেকে ৫টি, বাংলাদেশের ভেতর থেকে ৪টি. ওমান থেকে ২টি এবং সিঙ্গাপুর এবং জর্ডান থেকে ১টি করে অভিযোগ আসে।
রামরু চেয়ারপার্সন ড. সিদ্দিকী বলেন, ২০১৭ সাল বিদেশে কর্মী গেছে সবচেয়ে বেশী। নারী অভিবাসনের পাশাপাশি পুরুষ অভিবাসনও এ বছর অনেক বেড়েছে। রেমিটেন্সের নেতিবাচক অবস্থান এবার পাল্টেছে। তবে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় প্রতারণার বিষয়টি এ বছর বেড়েছে। অবিবাসী হতে ইচ্ছুকদের ১৯ ভাগ টাকা দিয়েও বিদেশ যেতে পারেননি। যা দু:খজনক।