ভারতের বর্ধমান বিস্ফোরণ মামলার আসামি বগুড়ায় গ্রেফতার, ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রবীর মোহন্ত, বগুড়া : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম আসামি আবু সাঈদ ওরফে কারীম ওরফে তালহা ওরফে শ্যামলকে (৩৬) অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবু সাঈদ বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান শূরা সদস্য। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদে সম্মেলনে জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০০৫ সালে নওগাঁ জেলার জেএমবি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সারা দেশে বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলো আবু সাঈদ। দুই বছর পর ভারতে পালিয়ে গিয়ে ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদের জেএমবি সদস্য ইয়াদুলের মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করে সেখানে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করে।
মো. আসাদুজ্জামান জানায়, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণে দুজন নিহত হয়। এরা হলোÑশাকিল গাজী ও করিম শেখ। বাংলাদেশের জেএমবি এই বিস্ফোরণের ঘটনার মূল হোতা বলে দাবি করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বিস্ফোরণের ঘটনায় বর্ধমান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় ও আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে এসে জেএমবিতে যোগদান করে। সাংগঠনিক কাজে অত্যন্ত দক্ষ হওয়ায় ২০১৭ সালের প্রথম দিকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান ও শূরা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন আবু সাঈদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১টার দিকে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইন্টেলিজেন্স শাখা যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ওমরপুর হাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি নাইনএমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, আটটি গুলি, একটি চাকু ও একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল জব্ধ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতারকৃত আবু সাঈদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু রায়হান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টায় তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।