সীমান্ত থেকে গাবতলি গরুর হাট পর্যন্ত প্রতি গরু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০/- টাকা হওয়ায় সাধারণ মানুষ মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই সারা দেশে হাজার হাজার মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত চামড়াজাত পণ্য ও চামড়া শিল্প উন্নয়নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত থেকে মাংস আমদানী। এতে পশুর চামড়া ও বর্জ্য কিছুই পাওয়া যায় না, রপ্তানীতে বিশাল শূণ্যতা দেখা দিচ্ছে। অথচ ভারতীয় মাংস আমদানী করে মূল্য কমানো যাচ্ছে না ; জনগণ কোন সুবিধা পাচ্ছে না, সরকার হারাচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা এবং চামড়া শিল্প ধীরে ধীরে ধ্বংশ হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী চামড়া ছাড়ানোর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। চামড়া ছাড়ানোর প্রশিক্ষণ সুদীর্ঘকাল ধরে চলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর অধীনে ইকোনমিক গ্রোথ বাংলাদেশে। কিন্তু সরকারের বিপুল অর্থের অপচয় হচ্ছে, প্রকৃত মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের আওতায় কখনো নেয়া হয় না, কিছু চাটার দল সভা-সেমিনারে ভিডিও এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করেন। চামড়া শিল্প ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়ন করতে চাইলে জবাইখানা ভিত্তিক হাতে কলমে প্রকৃত মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পশুপালন উন্নয়ন করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চামড়া শিল্প মালিকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। মাংসের মূল্য সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। প্রতি বছর ৬০ হাজার কোটি টাকা পশু আমদানিতে ব্যয় হয়। পশু পালনের জন্য কম করে হলেও ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। চামড়া রপ্তানির প্রনোদনা বন্ধ করে পশুপালনে ব্যয় করতে হবে, কৃষকদেরকে উৎসাহ দিতে হবে। সারা বিশ্বে অপূরণীয় চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশের মাংস, পশু বর্জ্য, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, হাড়, শিং, নাড়ী-ভুড়ি, পেনিস, গোল্লা, রক্ত, চর্বি, লোম ইত্যাদির। প্রশিক্ষণের অভাবে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা এখন কুকুরে খাচ্ছে। অনেক লেখা লিখেছি, এখনো লিখছি দেশের স্বার্থে ও জাতির স্বার্থে। ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন আধুনিক জবাইখানা ও স্থায়ী গরুর হাট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইকোনমিক গ্রোথকে বোঝানো যাচ্ছে না অর্থ লুটের কারনে। গরুর হাটে চাঁদাবাজির অংশ ও জবাইখানা থেকে অবৈধ অর্থ আদায়ে জড়িয়ে আছেন বলে মনে হয়। ইকোনমকি গ্রোথ মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষণে টাকা আত্মসাতে জড়িয়েছেন অনুমান করছি। না হলে এত লেখার পরেও দেশের প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা পুরনে এত বাধা কেন? মহাখালীতে আধুনিক পশু জবাইখানা নির্মিত হচ্ছে না, রহস্য কোথায় ভাবতে হবে।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ